Bollywood Strikes Back (Photo Credits: File Image)

অর্ণব গোস্বামী থেকে নবিকা কাপুর। দেশের প্রথম সারির সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে আদালতের দ্বারস্থ বি-টাউন। বলিউডের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টে রিপাবলিক টিভি, অর্ণব গোস্বামী এবং প্রদীপ ভাণ্ডারির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের নিশানায় রিপাবলিক টিভি ছাড়াও রয়েছে টাইমস নাও-য়ের রাহুল শিবশঙ্কর এবং নবিকা কুমার। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীন, অবমাননা ও মানহানিকর মন্তব্যের জন্যই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বলিউডের ৩৪ টি প্রযোজনা সংস্থা আদালতের দ্বারস্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে দ্য ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন প্রোডিউসার্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া,সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টিভি প্রোডিউসার্স কাউন্সিল, স্ক্রিনরাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন, আমির খান প্রোডাকশনস, অ্যাড-ল্যাবস ফিল্মস, অজয় দেবগন ফিল্মস, আন্দোলন ফিল্মস, অনিল কাপুর ফিল্মস অ্যান্ড কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, আরবাজ খান প্রোডাকশনস, আশুতোষ গোয়ারিকর প্রোডাকশনস, বিএসকে নেটওয়ার্ক অ্যান্ড এন্টারটেনমন্ট, কেপ অফ গুড ফিল্মস, ক্লিন স্টেট ফিল্মস, ধর্মা প্রোডাকশনস, এমি এন্টারটেনমেন্ট অ্যান্ড মোশন পিকচার্স, এক্সেল এন্টারটেনমেন্ট,ফিল্মকার্ট প্রোডাকশনস, হোপ প্রোডাকশন, কবীর খান ফ্লিমস, লভ ফিল্মস, ম্যাগফিন পিকচার্স, নাদিয়াদওয়ালা গ্র্যান্ডসন এন্টারটেনমেন্ট, ওয়ান ইন্ডিয়া স্টোরিস, রমেশ সিপ্পি এন্টারটেনমেন্ট, রাকেশ ওমপ্রকশ মেহরা পিকচার্স, রেড চিলিস এন্টারটেনমেন্ট, রিল লাইফ প্রোডাকশনস, রিলায়েন্স বিগ এন্টারটেনমেন্ট, রোহিত শেট্টি পিকচার্স, রয় কাপুর ফিল্মস, সলমন খান ফিল্মস, সোহেল খান ফিল্মস, শিক্ষা এন্টারটেনমেন্ট, টাইগার বেবি ডিজিটাল, বিনোদ চোপড়া ফিল্মস, বিশাল ভরদ্বাজ পিকচার্স, যশরাজ ফিল্মস। Plaintiffs-র তরফে DSK Legal দিল্লি আদালতে এই মামলা দায়ের করেছে। ৩৪ টি প্রযোজন সংস্থা ছাড়াও Plaintiffs-র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আরও ৪টি বলিউড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন।

কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কস রুলস, ১৯৯৪-র অধীনে বলিউডের নামে যে ‘নোংরা’ অভিযোগ আনা হয়েছে। তা অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও মামলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও 'মাদকাসক্ত'-র সঙ্গে জুড়ে দিয়ে যেভাবে বলিউডকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। সেই সমস্ত কিছুই এই মামলায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। বলিউডের বিরুদ্ধে ‘আরব থেকে আসা টাকায় এই দুর্গন্ধ দূর করা সম্ভব হবে না।’ এমন মন্তব্যও করা হয়েছে, এতে সকলের মানহানি হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হয়।