China Mummies. (Photo Credits:X)

World's Oldest Mummies : অভূতপূর্ব আবিষ্কার প্রত্নতাত্ত্বিকদের। মমি মানেই শুধু মশর বা ইজিপ্ট নয়। এশিয়ার বুকেই মমি রহস্য লুকিয়ে আছে! কবর খুঁড়ে বিশ্বের প্রাচীনতম মমির হদিশ মিলল চিনে (China)। বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ চিনে ৯ হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো মমি আবিষ্কার করলেন। যা মিশর বা ইজিপ্টের (Egypt) প্রাচীনতম মমির থেকেও অন্তত দ্বিগুণ বেশি পুরনো। জানা গিয়েছে, দক্ষিণে চিনে খুঁজে পাওয়া এই মমিগুলি মিশরের প্রাক-রাজবংশীয় যুগের (প্রায় ৪,৫০০ বছর আগে) মমির চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি পুরোনো, যা প্রত্নতত্ত্বের সময়রেখায় এক বড় পরিবর্তন এনেছে। দেহাবশেষের অবস্থা এবং সমাধির ধরন স্পষ্ট প্রমাণ দেয় যে, শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ মিশরের অনেক আগেই মমি তৈরির কৌশল আয়ত্ত করেছিল।

ইজিপ্টের ফ্যারাও যুগ, মমি প্রথার অনেক আগেই চিনের মমি!

ইজিপ্টের কাপড়ের ব্যান্ডেজ বা পিরামিড নয়, বরং আগুনের চুল্লির ওপর ধোঁয়ায় শুকিয়ে, শরীরকে হাঁটু মুড়ে রাখা অবস্থায় সংরক্ষণ করা হয়েছিল চিনের এই মমিগুলিকে। এই মমিগুলি পাওয়া গেছে দক্ষিণ চীন, ভিয়েতনাম, লাওসসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ৫৪টি প্রাচীন কবর থেকে, যা প্রমাণ করে শিকারি-সংগ্রাহক সমাজে এই প্রথা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। এই সমাধিস্থলগুলির বয়স প্রায় ১৪ হাজার বছর, যা মিশরের ফ্যারাও যুগ এবং মমি প্রথার বহু হাজার বছর আগে। গবেষকরা নিশ্চিত করেছেন, দেহকে আগুনে ধোঁয়ায় সংরক্ষণ ছিল পরিকল্পিত প্রক্রিয়া, এটিকে তারা 'ধীরগতির ভাজা'র মতো প্রাচীন এক রীতির সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা আকস্মিকভাবে হয়নি।

চিনের এই সমাধিস্থলগুলির বয়স প্রায় ১৪ হাজার বছর

মমি গবেষণায় খুলল নতুন দিগন্ত

এই আবিষ্কার মমি গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে আরও খননকাজ চালাবেন, যাতে এই প্রাচীন সংরক্ষণ পদ্ধতি ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়।