সাইবিয়া, আপেল আকৃতির এই শিশুকন্যা জন্মের ৫মাস পরে প্রথম বাড়িতে গেল
আপেল আকৃতির শুশু সাইবিয়া(Photo Credit: Facebook)

ক্যালিফোর্নিয়া, ৩ জুন: সাইবিয়া (Saybie), ক্যালিফোর্নিয়ার এক চিলতে নাগরিক, একেবারে আপেল আকৃতি। নানা কোনও গল্পকথা নয়, সত্যি সত্যি এমন শিশুকন্যার হদিশ মিলেছে মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্রের এই ব্যস্ত শহরে।গত ডিসেম্বরেই সান দিয়াগোর শার্প মেরি বিচ হসপিটাল (Sharp Mary Birch Hospital in San Diego) ২৪৫ গ্রাম ওজন নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখে শিশুকন্যা সাইবিয়া। প্রিম্যাচিওর হওয়ায় তার শরীরে জটিলতার শেষ ছিল না। তবে যাই সমস্যা থাকুক না কেন, সমস্ত বাধাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠছে সাইবিয়া। দীর্ঘদিন হাসপাতালে কাটানোর পর পাঁচ মাসের দূরন্ত সাইবিয়া বাবা-মায়ের কোলে চেপে বাড়ি গেল।আরও পড়ুন- ১০টি করে চারা গাছ রোপণ, তাহলে ব্যাচেলর ডিগ্রির শংসাপত্র পাবেন ফিলিপিন্সের পড়ুয়ারা, কিন্তু কেন?

পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়া সবচেয়ে কম ওজনের বাচ্চাদের রেকর্ড রাখে  University of Iowa। তাদের তথ্য অনুযায়ী সাইবিয়াই এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট্ট ও জীবিত ‘প্রি ম্যাচিওর’ বেবি। এর আগের রেকর্ড ছিল জার্মানির এক শিশুপুত্রের দখলে। ২০১৫ সালে জন্মানোর সময় শিশুপুত্রটির ওজন ছিল ২৬৮ গ্রাম। মানে  সাইবিয়ের চেয়ে পুরো ২৩ গ্রাম বেশি। তাই ইতিহাসের ক্ষুদ্রতম জীবিত শিশুর রেকর্ড আপাতত  সাইবিয়ের দখলে।শার্প মেরি বিচ হসপিটালের নার্স স্প্রিং ব্রিজেস, যিনি নিওনাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (NICU), সাইবিয়ার সঙ্গে কাটিয়েছেন দিনরাত। তিনি বলেছেন, “আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছি, আসল লড়াইটা কিন্তু করে গেছে আদরের সাইবিয়া”।

সময়ের অনেক আগে ভূমিষ্ঠ শিশুদের বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। চোখের সমস্যা, হাত পা ঠিক মত ব্যবহার করার সমস্যা, বুদ্ধিগত সমস্যা।জন্মের পাঁচ মাস পরে এই তথ্য প্রকাশ করেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এখন সাইবিয়ের ওজন প্রায় আড়াই কেজি। যদিও হাসপাতালের তরফ থেকে সাইবিয়ের বাবা মায়ের ইচ্ছানুসারে তাঁদের নাম গোপন রাখা হয়েছে। এমন কি সাইবিয়ে নামটাও হাসপাতালের নার্সদের দেওয়া। মাত্র ২৩ সপ্তাহ ৩ দিন মায়ের পেটে ছিল সাইবিয়া। মায়ের শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় সিজার করে সাইবিয়েকে পৃথিবীর আলো দেখানো হয়। তবে এখন পুরোপুরি সুস্থ সাইবিয়া পাঁচ মাসের দুরন্ত বাচ্চা, তার দূরন্তপনা দিয়ে গোটা বাড়ি মাতিয়ে রেখেছে।