মাঝেমধ্যেই কানে ঠিকভাবে শুনতে পেতেন না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বছর ৪৩-এর লুসি উডহাউস। নেশাগ্রস্থের মতো ঝিঁমুনি লাগত তাঁর। আর তখনই আশেপাশের মানুষ যদি কিছু বলত, তা তাঁর কানে ঢুকতো না। মনে হতো অন্যরা ভিন্নভাষায় কথা বলছে। যদিও তিনি সেভাবে মাদকাশক্ত ছিলেন না। তবে এই সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই সে ভুগছেন। পেশায় নার্স লুসির এক মা ২০২৩-এর ডিসেম্বর মাসে তাঁর এই সমস্যা লক্ষ্য করে। আর তারপরেই সে চিকিৎসকদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তাঁরা জানায় সে মেনিনজিওমা টিউমারে (Meningioma Tumor) আক্রান্ত। মূলত এই টিউমারের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। পাশাপাশি কানে শোনা ও চোখের সমস্যাও শুরু হতে পারে এবং ধীরে ধীরে সেই রোগী কালা এবং অন্ধ হয়ে যায়।
মূলত এই রোগটি মহিলারদের মধ্যেই বেশি হয়। কারণ তাঁরা ডেপো-প্রোভেরা নামক গর্ভনিরোধক ইনজেকশন, ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) করেন কিংবা এইচআরটি ওষুধ নিলে এই রোগ হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। লুসি জানান, ১৯৯৭ সালে যখন তিনি যৌবন ছিলেন তখন ডেপো-প্রোভেরা ইনজেকশন একাধিকবার নিয়েছিলেন এবং ২০১৩ সালে তিনবার আইভিএফের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের চেষ্টা করেছিলেন। শুধু তাই নয় ২০২১ সাল থেকে নিয়মিত এইচআরটি ওষুধ নিচ্ছেন। তবে বর্তমানে চিকিৎসকদের পরামর্শে এই ওষুধ নেওয়া বন্ধ করেছেন।
এই রোগে আক্রান্ত হওয়া পর লুসি কার্ডিফের ওয়েলসের ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে যান। সেখানে মস্তিস্কের স্ক্যান করে চিকিৎসকরা অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন। তারপর তিনি আরও একটি চিকিৎসককে রিপোর্ট দেখান। তিনি আবার সার্জারি করার পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী মাস ছয়েক আগে অস্ত্রোপচার করে ৩ মিলিমিটারের টিউমার বের করেন। আপাতত লুসি সুস্থ রয়েছেন। তবে এই টিউমারের জন্য অতীতের কথা ভুলে যাওয়া শুরু হয়ছিল। তা আপাতত ঠিক হচ্ছে