ওয়াশিংটন, ১৭ জুলাই: ভারত ও চিনের মানুষকে ভালবাসেন। তাই এই দুই দেশের মধ্যে শান্তি রক্ষার্থে যা যা করা সম্ভব তার সবটাই করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)।গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে এসেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এতদিন পর প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানালেন এই কথা। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কাইলি ম্যাকনানি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হয়ে বলেন, “আমি ভারত চিন দুই দেশের মানুষকেই ভালবাসি। তাই দুই দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা করা সম্ভব ততটাই করব।”
এদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ নিয়ে মাস দু’য়েক আগে চিনের সঙ্গে নতুন করে সঙ্ঘাত দেখা দেয় ভারতের। জুন মাসে দুই দেশের জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষে দু’পক্ষেই প্রাণহানি ঘটে। তার জেরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। এ ব্যাপারে শুরু থেকেই ভারতের পক্ষ নিয়ে এসেছে মার্কিন সরকার। গোটা পরিস্থিতির জন্য চিনা আগ্রাসনকেই দায়ী করেছে তারা। সম্প্রতি ইউরোপে গিয়েছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান। তিনিও সে সময়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের সঙ্গে চিন অত্যন্ত আগ্রাসী আচরণ করছে। ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশ। আমাদের মধ্যে ভাল ও দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এছাড়াও গত কয়েক মাস ধরেই কোভিড ইস্যুতে চিনকে একের পর এক আক্রমণে বিদ্ধ করেছেন ট্রাম্প। লাদাখ সংঘর্ষেও ভারতেরই পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। আরও পড়ুন-Russia: কোভিড ভ্যাকসিন গবেষণার ফর্মুলা হাতাতে হ্যাকিং করছে রাশিয়া, এক যোগে অভিযোগ ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডার
এদিকে আজ জানা গেল, ট্রাম্প বলেছেন, “আমি ভারতের মানুষকে ভালবাসি এবং চিনের মানুষকেও ভালবাসি। তাই দু’দেশের সাধারণ মানুষের জন্যই দু’দেশের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য যা প্রয়োজন, তাই করতে চাই।” বলা বাহুল্য বিতর্ক এড়াতে সরাসরি একথা বলেলননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট, প্রেস সচিবকে দিয়ে বলিয়েছেন। এতদিন লাদাখ প্রশ্নে চিনকে ছেড়ে ভারতের পাশের চেয়ারটি আঁকড়ে ধরেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন সেই একই প্রশ্নে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন ভোলবদলে বেজায় চমকেছেন কূটনীতিকরা।