গ্রেটা থুনবার্গ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প(Photo Credit: Getty Images)

নিউইয়র্ক, ২৪ সেপ্টেম্বর: পরিবেশ কর্মী সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গের (Greta Thunberg) আগুন ঝরানো বক্তব্য হজম করতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই থুন বার্গের বক্তৃতা পরেপরেই সোমবার এক টুইট বার্তায় এই খুদে পরিবেশ কর্মীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তবে তাঁর হিসেবে ভুলছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্টের (US President Donald Trump) হ্যাঁ শুনে সবাই তাল দিয়ে হ্যাঁ বলবেন না, তা একেবারেই আশা করেননি ট্রাম্প। তাঁর আশায় কীইবা যায় আসে। উল্টে গ্রেটা থুনবার্গকে ট্রোল করতে গিয়ে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়ে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এককথায় ব্যুমেরাং হয়ে ফিরল ট্রোল। পাল্টা ট্রোলিংয়ের শিকার হয়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জে থুনবার্গ তাঁর বক্তব্যের পরেই সেখানে আসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

খুদে পরিবেশকর্মী যে ট্রাম্পকে পছন্দ করেন না তা তাঁর চোখ দেখলেই বেশ বোঝা যাচ্ছিল। শীতল দৃষ্টিতে ট্রাম্পের দিকে তাকিয়ে ছিলেন গ্রেটা থুনবার্গ। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে না হতেই ওই কিশোরীকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে বিশ্বমঞ্চে নিন্দিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনিতেই জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষা নিয়ে আন্দোলনের মুখ এখন গ্রেটা থুনবার্গ। ১৬ বছর বয়সী এই সুইডিস কিশোরীর গলায় বিশ্বেররাষ্ট্র নেতাদের প্রতি ক্ষোভ ঝরে পড়ছে বার বার। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ২০১৮ সালেই এই স্কুল পড়ুয়া সুইডেনের সংসদের বাইরে প্রতিবাদ করেন। সোমবার তাঁকে রাষ্ট্রপুঞ্জে বলার সুযোগ দেওয়া হয়।বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, ‘আমার এখানে থাকার কথা নয়। এই সময় আমার সাগরের অন্য পারে স্কুলে থাকার কথা ছিল। ফাঁকা বুলি দিয়ে আপনারা আমার স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছেন, আমার শৈশবটাই কেড়ে নিয়েছেন। আজ আমার কথা শুনতে এসেছেন। ভাবছেন আমাদের প্রজন্ম আপনাদের দিশা দেখাবে? এত সাহস হয় কী করে আপনাদের।’ আরও পড়ুন-ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে ফের কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান মধ্যস্থতার কথা

প্রথমে চোখা চোখা সওয়ালের পর ফের একবার রাষ্ট্রনায়কদের একহাত নেন গ্রেটা। বলেন, “আপনারা আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। কিন্তু এ বার যুব সমাজ সবটা বুঝতে পারছে। আগামী প্রজন্মের নজর আপনাদের উপরেই রয়েছে। আমাদের হতাশ করলে কথা দিচ্ছি কাউকে রেয়াত করব না।” সোমবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের ‘ক্লাইমেট সামিটে’ যোগ দিয়েছিলেন গ্রেটা। সেখানেই সুইডিশ কিশোরীকে একদম অন্যরূপে দেখল বিশ্ববাসী। নিজের বক্তব্যের মধ্যে অন্তত চারবার “হাউ ডেয়ার ইউ” বললেন তিনি।