Flight (Photo Credit: X)

US Government Shutdown: ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ এখন চলছে শাটডাউন। সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে ঐক্যমত না হওয়ায় সরকারের সব অফিস, দফতর অচল হয়ে গিয়েছে। শাটডাউন (Shutdown) হল এমন এক অবস্থা, যখন মার্কিন কংগ্রেসে বাজেট বা অর্থবরাদ্দ অনুমোদিত না হওয়ায় সরকার আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং অপ্রয়োজনীয় সরকারি দফতর ও পরিষেবা সাময়িকভাবে স্থগিত থাকে। শাটডাউনকে অনেকটা সরকারি অফিসের লকডাউন বলা যায়। গত পয়লা অক্টোবর থেকে ট্রাম্পের দেশে চলা শাটডাউনে জনজীবন বিপর্যস্ত। শাটডাউনে মার্কিন মুলুকে এতটাই অবস্থা খারাপ যে সোমবার প্রায় ছ’ঘণ্টা ধরে একাধিক মার্কিন বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারে কোনো কর্মী ছিলেন না। ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউডের এক বিমানবন্দরে (Burbank Airport) এভাবেই দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা ধরে বিমান চলাচল করল। একেবারে ভগবানের ভরসায় যাত্রী সুরক্ষাকে ঝুলিয়ে রেখে চলল বিমান।

শাটডাউনে চরম সঙ্কটে ট্রাম্পের দেশে

আমেরিকায় চলা সরকার বন্ধের (Government Shutdown) প্রভাবে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণে চরম সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সরকারি অচলাবস্থার কারণে বহু এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার বেতন না পাওয়ায় কাজে অনুপস্থিত বা অসুস্থতার অজুহাতে ছুটি নিচ্ছেন। এর ফলে সোমবার বিমানগুলোকে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে দূরবর্তী কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, যা দেরি ও নিরাপত্তা দু’দিকেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

দেখুন খবরটি

কর্মীরা এখন বেতন পাবেন না, তাই কাজে যাচ্ছেন না

বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে গোটা দেশে বিমান পরিষেবায় ব্যাপক বিঘ্ন দেখা দিতে পারে। শাটডাউন থাকায় মার্কিন মুলুকে সরকারি কর্মীরা যতদিন পরিস্থিতি না স্বাভাবিক হয় কেউ বেতন বা সরকারি মজরি পাবেন না। ফলে আমেরিকায় এখন কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড়া বেশিরভাগ সরকারি দফতরের কর্মীরাই কাজে আসেছেন না। আর তাতেই তৈরি হয়েছে বড় সঙ্কট। সবচেয়ে অবাক করা এত বড় ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিরোধীদের ওপর দায় চাপিয়ে পুরো চুপ আছেন।

কাজ বন্ধ নাসা (NASA)-তেও

মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউডের বারবাঙ্ক বিমানবন্দরে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে কোনও কর্মী এলেন না। তবু সেই বিমানবন্দরে বিমান ছাড়ল, অবতরণ করল। এয়ার ট্র্য়াফিক কন্ট্রোলের বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনও মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়া সম্পূর্ণ ঝুঁকি নিয়েই বিমান চলাচল করল। এ কথা সবারই জানা, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের নির্দেশ মত বিমান চলাচল করে। পাইলট বিমানের ককপিটে বেশিরভাগ কাজই করেন এয়ার ট্র্য়াফিক কন্ট্রোলে বসে থাকা বিশেষজ্ঞ কর্মীদের নির্দেশের ওপরেই। অথচ এত গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজের জন্য কোনও কর্মীই শাটডাউনে উপস্থিত থাকতে পারলেন না। কয়েকজন এয়ার ট্র্য়াফিক কন্ট্রোলের কর্মী ঘর থেকে বিশেষ প্রযুক্তি মাধ্যমে বিমানের টেক অফ, অবতরণ নিয়ে নির্দেশিকা দিলেন পাইলটদের। এতে বড় দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। বিমানবন্দের মত নাসা (NASA)-র কাজকর্মও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এতে বড় সমস্য়ায় পড়তে পারেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে থাকা মহাকাশচারীরা।