Jaahnavi-Kandula Murder Case

গত জানুয়ারি মাসে সিয়াটেলে একটি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল ২৩ বছর বয়সী জাহ্নবী কান্দুলা নামে এক ভারতীয় ছাত্রীর।বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা জাহ্নবী ২০২১ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি পেতে  আমেরিকার নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন।চলতি বছরের ডিসেম্বরেই তাঁর ডিগ্রি পাওয়ার কথা ছিল। তবে এক বেপরোয়া পুলিশ অফিসারের কারণে তা আর হল না। রাস্তা পার করতে গিয়েই গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়েছিলেন জাহ্নবী। এর জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে তাঁকে যে গাড়িটি ধাক্কা মারে, সেটি চালাচ্ছিল এক পুলিশকর্মী। সেই পুলিশকর্মীর নাম কেভিন ডেভ।অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার কেভিনের দাবি ছিল, 'ইমারজেন্সি কল' পেয়ে তিনি এক জাগায় যাচ্ছিলেন। তাঁর গাড়ির সাইরেনও বাজছিল মাঝে মাঝে। তবে অনবরত তা বাজছিল না বলে তিনি মেনে নেন। তাঁর দাবি, এই দুর্ঘটনার জেরে তিনি অনুতপ্ত।

এদিকে গাড়ি চালানোর সময় কেভিন ডেভ নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিয়াটেল পুলিশ। সিয়াটেল পুলিশ অফিসার্স গিল্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল অডেরারকে খতিয়ে দেখতে বলা হয় যে দুর্ঘটনার সময় কেভিন নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না। পরে ড্যানিয়েল সেই ঘটনা নিয়েই গিল্ডের সভাপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং তাঁর বডিক্যামে তা রেকর্ড হয়। সেই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। আর তা থেকেই বিতর্কের ঝড়ের সূচনা। কি ছিল সেই ভিডিওতে-

ভিডিওতে সিয়াটেল পুলিশ অফিসার্স গিল্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েলকে জাহ্নবীর মৃত্যু নিয়ে ঠাট্টা করতে শোনা যায়। গিল্ড সভাপতি মাইক সোলানকে ড্যানিয়েল বলেন, 'তাঁর (মৃত ছাত্রীর) জীবনের দাম এমনিতেই কম ছিল। শুধু একটা চেক লিখে দিলেই হয়ে যাওয়া উচিত। ১১ হাজার ডলারের চেক দিয়ে দেওয়া হোক। এমনিতেই তাঁর বয়স ২৬ বছর (ভুল বয়স বলেন ড্যানিয়েল) ছিল।'

 

 এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর সারা বিশ্বের ভারতীয়দের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম নিয়েছে। এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি করেছেন সান ফ্রান্সিস্কোতে ভারতের কনস্যুলেট জেনারেল।

সানফ্রান্সিকোর ভারতীয় কনস্যুলেট তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, এই মর্মান্তিক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাইছি। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিয়াটেল এবং ওয়াশিংটনের কর্তৃপক্ষ ও ওয়াশিংটন ডিসি প্রশাসনের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি।অনেকেই এখন এক্স হ্যান্ডেলে এই সব বিকৃত মানসিকতার মানুষদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত।