Colombo Street. (Photo Credits: ANI/Twitter)

কলম্বো, ১৫ মে: পর্যটনে গোটা বিশ্বের কাছে অত্যন্ত প্রিয় গন্তব্য হল শ্রীলঙ্কা। গত কয়েক বছর পর্যটনে শ্রীলঙ্কা পাল্লা দিচ্ছে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডকেও। হবে নাই বা কেন! প্রকৃতি যেন সব সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্রকে। সমুদ্র সৈকত থেকে সবুজের সমারোহে মনটানা জঙ্গল, আর দারুণ মনভাল করা বৃষ্টি থেকে রোদ। শ্রীলঙ্কা মানেই পর্যটকদের গড়। গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিদেশী পর্যটকদের ঢল বাড়ায় শ্রীলঙ্কা জুড়ে হোটেল সহ পর্যটনের নানা পরিকাঠামো ব্যাপক হারে বাড়ানো হয়। কিন্তু বেনজির আর্থিক সঙ্কটের জেরে শ্রীলঙ্কায় তৈরি হওয়া অচলাবস্থার কারণে পর্যটনে পুরো দাঁড়ি পড়ে গিয়েছে।

কেউই আর ঝুঁকি নিয়ে শ্রীলঙ্কায় ঘুরতে যেতে চাইছেন না। শ্রীলঙ্কা মানেই এখন শুধুই নেই আর নেই, বিক্ষোভ আর আন্দোলন।   কলম্বো থেকে ক্যান্ডি। সর্বত্রই পর্যটকহীন হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস ধরেই।

দেখুন ছবিতে পর্যটকহীন শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির একটা বড় অবদান আছে পর্যটন ক্ষেত্রের। কিন্তু সেসবই এখন বন্ধ। একের পর হোটেলে তালা, সমুদ্র সৈকত একলা পড়ে। পর্যটকদের জন্য তৈরি হওয়া রেস্তোরাঁগুলোও বন্ধ। অনাহারের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ট্যুরিস্ট গাইডদের মধ্যে। কারণ তাদের রুটিরুজির সবটাই বিদশী পর্যটকদের মাধ্যমেই আসে। এদিকে, শ্রীলঙ্কায় এবার ফুরিয়ে আসতে শুরু করেছে গ্যাস। রান্নাঘরে তো বটেই রাস্তায় অটো চলাচলেও টান পড়ছে গ্যাসের অভাবে।

গত সোমবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন মাহিন্দা রাজাপাক্ষে (Mahinda Rajapaksa)। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মাহিন্দা রাজাপাক্ষে নিজের পরিবার নিয়ে গোপণ ডেরায় লুকিয়ে পড়েন বলে খবর। তবে মাহিন্দা রাজাপাক্ষে গোপণ ডেরায় আশ্রয় নিলেও, তিনি এই মুহূর্তে দেশ ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে শ্রীলঙ্কার আদালত। যা নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র জুড়ে।