ওয়াশিংটন, ২৭ মে: বিশ্বের প্রথম দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেখানে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা (COVID-19 death toll) লক্ষাধিক ছাড়িয়ে গেল। ওয়ার্ল্ডো মিটারের রিপোর্ট অনুযায়ী মার্কিন মুলুকে করোনার মৃত্যুমিছিলে শামিল ১ লক্ষ ৪৬ জন। মঙ্গলবার সাতসকালেই জানা গিয়েছিল, সেখানে দৈনিক ২৪১ জনের মৃত্যু হচ্ছে। দিন গড়ালে যে মৃতের সংখ্যা বাড়বে তার আঁচও পাওয়া গিয়েছিল। সবমিলিয়ে মার্কিন মুলুকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১.৭ মিলিয়ন। যা বিশ্বের যে কোনও দেশের কোভিড রোগীর সংখ্যার হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে। মার্কিন মুলুকে কোভিড রোগীর সংখ্যা ১৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৬৩। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৩৯ জন।
দেশে যখন মারণ রোগের থাবায় মৃত্যু মিছিল বাড়ছে, তখন যেকোনও উপায়ে অর্থনীতিকে সচল করতে উদ্যোগী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। শেয়ার বাজারের অবস্থা ভাল নয়। তবে আগামী বছর এই পরিস্থিতি থাকবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাণিজ্যিক কাজকর্ম শুরু হওয়া চাই। টুইট করে এটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিটি স্টেট গভর্নরকে মূল অর্থনৈতিক সেক্টর পুনরায় খোলার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। প্রতিদিন মার্কিন মুলুকে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের সাফাই, প্রথম দিকে যদি তাঁর সরকার লকডাউনে না যেত তাহলে মৃত্যু মিছিল আরও দীর্ঘ হত। এখনও সেদেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা কম থাকার কারণে সরকারকেই কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। আরও পড়ুন- Saudi Arabia: পবিত্র শহর মক্কা ছাড়া সমগ্র সৌদি আরবে লকডাউন উঠছে ২১ জুন
মৃতের সংখ্যা লক্ষাধিক ছাড়াতেই ট্রাম্পের দাবি, “যদি সংক্রমণের শুরুতে আমার সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিত তাহলে এখন মৃতের সংখ্যা লক্ষাধিকের বদলে ১.২ মিলিয়ন বা ২ মিলিয়ন হত। এই মহামারীতে আমরা যত জনকে হারালাম তার থেকে ১৫ বা ২০ গুণ বেশি বাসিন্দাকে হারাতাম যদি না প্রথমেই চিনের প্রবেশ রুখতাম।” বিশ্বে এই মুহূর্তে মহামারীর কবলে প্রায় ৫.৬ মিলিয়ন মানুষ। ইতিমধ্যেই ৩ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবথেকে খারাপ অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরেই রয়েছে ব্রাজিল। যেখানে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৭৭ হাজারেরও বেশি। এর পরে পরেই রয়েছে রাশিয়া, তুরস্ক ও ভারত।