হোয়াইট হাউসের সাংবাদিক সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Photo Credits: AFP)

ওয়াশিংটন, ১ মে: নভেল করোনাভাইরাসের কবলে বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি পুরোপুরি ধ্বংসের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এই মারণ ভাইরাসের উৎপত্তি চিনের উহান শহরের ভাইরোলজির ল্যাবে। বৃহস্পতিবার অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে একথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে চলছিল সাংবাদিক সম্মেলন। সেই সময়ই জোর গলায় কোভিড-১৯ এর জন্মের দায়ভার চিনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন ট্রাম্প। যে উহানের ভাইরোলজির ল্যাব থেকেই এসেছে করোনাভাইরাস। তবে এনিয়ে কোনও বিশদ তথ্য এখনই দিতে নারাজ প্রেসিডেন্ট। শুধু বলেছেন তদন্ত চলছে, খুব শিগগির প্রমাণ মিলবে।

তখন তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কোন ঘটনা তিনি এতটা নিশ্চিত হলেন যে উহানের ভাইরোলজি ল্যাবেই করোনাভাইরাসের উৎপত্তি? এর উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “ আমি তা বলতে পারব না। আমরা বলার অনুমতি নেই।” তবে এনিয়ে শি জিনিপংকে দায়ী করতে নারাজ প্রেসিডেন্ট। “আমি তা বলতে চাই না। আমি তা বলতে চাই না। তবে এটা নিশ্চই বন্ধ করা যেত। এটা চিন থেকেই এসেছে এবং সেখানে একে থামিয়ে দেওয়া যেত। আমরা মনে হয় তারা বন্ধও করেছিল। গোটা পৃথিবীই এখন এটার থেকে নিষ্কৃতি চাইছে।” উহানের গ্রাউন্ড জিরোতেই এই ভাইরাস নিয়ে কিছু ঘটেছে। “চিন এই বিপর্যয়কে রুখতে পারতো। তারা হয় ভাইরাসটির ভয়াবহতা রুখতে অক্ষম ছিল, নয় তো ইচ্ছে করেই ছড়িয়েছে। আর এর জেরে বিশ্ব বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে।” আরও পড়ুন- White House Unfollows PM Modi: বন্ধুত্বে চিড়? নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে আনফলো করল হোয়াইট হাউস

তিনি মনে করেন, “হয় চিন এই ভাইরাসকে রোখার চেষ্টা করেনি। নয় তো চেষ্টা করেও রুখতে পারেনি। এটা ছড়িয়েছে। তারপরই সম্ভবত এই ভাইরাস নিয়্ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আরও ঘটনা আছে, সেই সময় চিন সেদেশে বাইরের কোনও পরিবহনকে ঢুকতে দেয়নি। কোনও দেশ থেকেই কোনও বিমান সেসময় চিনে যেতে পারেনি। কিন্তু চিন থেকে আমেরিকা ও ইউরোপে আগত প্লেন তারা বন্ধ করেনি। এই জন্যই ইটালির অবস্থা এত করুণ হল। আমেরিকা ভাগ্যবান এবং আমি খুব ভাগ্যবান তাই আগেভাগেই চিনকে নিষিদ্ধ করেছিলাম। জানুয়ারির প্রথম দিকেই একজা করি। পরে ইউরোপ থেকেও বিমান আসা নিষিদ্ধ করে দিই। চিন বিজ্ঞান ও উন্যান্য দিক থেকে খুবই উন্নত।”