জেনেভা, ৯ জুন: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে ইউরোপ। যদিও মহামারী কোভিড বিশ্বজুড়ে আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে চলেছে, সোমবার এমনই সতর্কবার্তা দিলেন বিশ্ব সংস্থা প্রধান টেড্রস ওঢ্যানো গেব্রায়েসেস। জাতি সংঘে হেলথ এজেন্সিতে যে ১০টি দেশ থেকে ৭৫ শতাংশ নতুন আক্রান্তের খবর এসেছে তার বেশিরভাগটাই আমেরিকায় ও দক্ষিণ এশিয়ায়। গত ১০ দিনে নতুন করে ১ লক্ষের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। রবিবার মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার। একদিনে এমন আক্রান্তের হার এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি। আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশগুলিতে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত এই উপমহাদেশের দেশগুলির কোনও কোনওটায় মোট আক্রান্তে হাজারেরও কম।
তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে বেশকিছু দেশে ইতিবাচক পদক্ষেপও দেখতে পাচ্ছি। তবে এই সময় আত্মতুষ্টির মতো বিপজ্জনক পদক্ষেপ আর কিছু নেই। এদিকে হু-র ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভন কেরখোভ এ দিন বলেন, “আমাদের কাছে যে তথ্য ও পরিসংখ্যান রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে সব রোগীর শরীরে উপসর্গ নেই তাঁদের থেকে অন্য কারও শরীরে সংক্রমণ ছড়ানোর হার খুব কম। বলতে গেলে বিরল”। হু-র জেনেভার সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকের সময় মারিয়া এ ব্যাপারটায় জোর দিতে গিয়ে ফের বলেন, “এটা খুবই বিরল।” আরও পড়ুন-Winston Churchill Memorial: ‘বর্ণবিদ্বেষী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল’, মূর্তিতে রেসিস্টের তকমা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ লন্ডনে
তিনি জানান, একটা কথা বরং আমাদের স্পষ্ট বুঝে নেওয়া দরকার। যে রোগীদের উপসর্গ রয়েছে তাঁদের যদি আমরা চিহ্নিত করতে পারি, তাঁরা যাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের আইসোলেশনে বা কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পারি তা হলে সংক্রমণ ছড়ানোর হার এক ধাক্কায় কমে যাবে।