ইসলামাবাদ, ২৪ সেপ্টেম্বর: জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আগেই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হয়েছে। তার উপরে গত ফেব্রুয়ারির বালাকোট হামলার গেরো। সবমিলিয়ে বেজায় বিপাকে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed)। ভারতের বিরুদ্ধে যেরকমই নাসকতা তারা চালাক না কেন কপালে দুঃখের পরিমাণ বাড়বে বই কমবে না, কেননা আন্তর্জাতিক স্তরে যে জইশ একটা কালো নাম। সে যাইহোক, তাই বলে তো সন্ত্রাসী হামলা থেকে জইশ পিছু হটতে পারে না, তাই নিজেদের কাজ করতে সংগঠনের নামই বদলে ফেলল এই পাক জঙ্গি গোষ্ঠী। তবে নাম বদলালেও কাজে কিন্ত একই থাকছে। নাম বদলের পরেপরেই ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।আন্তর্জাতিক চাপ কমাতেই নাম বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, জইশ-ই-মহম্মদের নতুন নাম হয়েছে ‘মজলিস উরাসা এ শুহুদা জম্মু ওয়া কাশ্মীর’ (Majlis Wurusa-e-Shuhuda Jammu wa Kashmir)। এই নামের মানে জম্মু-কাশ্মীরের সব শহিদদের পরিবারের জমায়েত। ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের মনে নেতিবাচক ভাবনা আরও বাড়ানোর জন্যই এই নাম নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জইশের এই নাম বদল ও হামলার পরিকল্পনার পিছনে পাক সরকার ও সেনার প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। শুধু নাম বদল নয়, মালিকানাও বদল হয়েছে জইশের। মাসুদ আজহারের থেকে তাঁর ভাই মুফতি আবদুল রউফ আসগার বর্তমানে জইশ ই মহম্মদের দায়িত্বে। মাসুদ আজহার পাকিস্তানের ভাওয়ালপুরে হাসপাতালে ভর্তি বলে খবর।নাম বদলালেও তাদের বাকি কর্মপদ্ধতি একই রয়েছে। কীভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারতে হামলা চালাতে হবে, সেই ছকই কষছে তারা। জইশ নেতা মৌলানা আবিদ মুখতার ইতিমধ্যেই ভারত, আমেরিকা ও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। শুধুমাত্র জম্মু-কাশ্মীর নয়, জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে গুজরাত ও মহারাষ্ট্রও। আরও পড়ুন-ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে ফের কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান মধ্যস্থতার কথা
এ বার আভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠন, যেমন আল উমনার মুজাহিদিন প্রভৃতির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে তারা। শুধুমাত্র জইশ নয়, পাকিস্তানের আর এক জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবাও তাদের একাধিক প্রশিক্ষণ শিবির ফের চালু করেছে। মীরপুর, সিয়ালকোট, লাহোরের একাধিক জায়গায় রয়েছে এই সব শিবির। তৃতীয় জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনও তাদের জঙ্গিদের সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তাদের মূলত গুরেজ সেক্টরে মোতায়েন থাকতে বলা হয়েছে।