তাইপে (তাইওয়ান), ৩০ জুন: শক্ত হতে হবে অনেক শক্ত। আর তাই জুডোর (Judo) প্রশিক্ষক সাত বছরের ছেলেটাকে বারবার আছড়ে ফেলছিল শক্ত মেঝেতে। এতে তার শরীর মজবুত হবে। দু তিনবার ছুঁড়ে ফেলার পরই তাওয়ানের সাত বছরের ছেলেটি তার জুডো প্রশিক্ষককে বলে, তার খুব লাগছে। তাতে প্রশিক্ষক আরও উৎসাহিত হয়ে ছোট ছেলেটাকে শক্ত মেঝেতে দ্বিগুণ গতিতে আছড়ে ফেলতে শুরু করে। ১০-১১ বার এভাবে ছোঁড়ার পর ছেলেটি বমি করে। বমি করায় কাজ হচ্ছে বলে প্রশিক্ষক এরপরেও গুণে গুণে ২৭ বার সাত বছরের ছেলেটিকে মাটিতে ফেলতে থাকে। এর মাঝে মারাত্মক আহত হয়ে ছেলেটি জ্ঞান হারায়। হুয়াং নামের তাইওয়ানের (Taiwan) সাত বছরের সেই ছেলেটিকে এরপর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আরও পড়ুন: মাস্ক না পরায় মোটা অর্থের জরিমানা অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রীকে, সিসিটিভিতে পড়লেন ধরা

মাথায় তীব্র আঘাতে সে কোমায় চলে যায়। তার মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়। ব্রেন হ্যামারেজে গত ৭০ দিন সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে কোমায় ছিল। অবশেষে আজ সে মারা গেল। ছেলেটির অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আর কাজ না করায় তার বাবা-মা লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম খুলে নেয়। ছেলেটি বড় জুডো খেলোয়াড় হতে চেয়েছিল, কিন্তু নির্বোধ প্রশিক্ষকের জন্য তার প্রাণ গেল। হো নামের সেই প্রশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে জুডোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থেলে সবে ভর্তি হয়েছিল। জুডোর বেসিক মুভমেন্ট সে জানত না। কিন্তু তা সত্ত্বে প্রশিক্ষক হো তাকে কঠিন জুডো টেকনিক, মাটিতে ছুঁড়ে বাঁচার কৌশলের মত কঠিন টাস্ক শেখাতে শুরু করেন। সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এক শিক্ষার্থী জানায়, 'সাত বছরের ছেলেটি বারবার বলছিল, স্যার আমার মাথা খুব ব্যথা করছে। আমায় ছেড়ে দিন।'কিন্তু প্রশিক্ষক তার কথা না শুনেই তাকে মাটিতে জোরে জোড়ে আছাড় দিতে থাকে। সেই ক্লাসে ছেলেটির কাকাও উপস্থিত ছিলেন। কাকা সেই প্রশিক্ষককে অনুরোধ করেন ছেলেটিকে ছেড়ে দিতে, কিন্তু কোচ তাঁর অনুরোধ প্রত্যাখান করে জানিয়েছিলেন, জুডোকা হতে হলে এটুকু কষ্ট করতেই সহ্য করতেই হয়।