Typhoon Ragasa (Photo Credit: X/Screengrab)

 Super Typhoon Ragasa: দক্ষিণ চিনে ঢুকছে রাগাসা (Ragasa)। সুপার টাইফুন রাগাসার (Super Typhoon Ragasa) ভয়ে জড়োসড়ো দক্ষিণ চিনের South China) মানুষজন। চলতি বছরে গোটা বিশ্ব যেকটি শক্তিশালী টাইফুন দেখেছে, তার মধ্যে রাগাসা অন্যতম। এখনও পর্যন্ত হয়ে যাওয়া সবকটি টাইফুনের মধ্যে রাগাসা সবেচেয়ে শক্তিশালী। এমনই মনে করছে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।

রিপোর্টে প্রকাশ, দক্ষিণ চিনের গুয়াংডং প্রদেশ থেকে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষকে সরানো হয়েছে। রাগাসা যত শক্তি বাড়াচ্ছে, তত দ্রুত গতিতে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে চিনা প্রশাসনের তরফে।

এদিক রাগাসা চিনে প্রবেশের আগে তাইওয়ানে ধ্বংসলীলা চালায়। রাগাসার দাপটে তাইওয়ানে ইতিমধ্যেই ১৫ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। আহত এবং নিখোঁজ যে কত, তার পরিসংখ্যান মেলেনি। সেই সঙ্গে তাইওয়ানে বাড়ি, ঘর ভেঙে ধ্বংসলীলা চালায় এই সুপার টাইফুন।

তাইওয়ানের আগে রাগাসা গত ২ দিন ধরে ফিলিপিন্সে তাণ্ডব চালায়। ফিলিপিন্সে তাণ্ডবের পর তাইওয়ান (Taiwan) হয়ে এবার দক্ষিণ চিনে থাবা বসাতে চলেছে এই সুপার টাইফুন।

রাগাসার ভয়ে কাঁপছে চিন...

 

তাইওয়ানে কীভাবে তাণ্ডব চালায় রাগাসা দেখুন...

 

হংকংয়ে ধ্বংসলীলা রাগাসার...

 

রাগাসার দাপটে মৃত্যু মিছিল 

সুপার টাইফুন রাগাসার দাপটে তাইওয়ানে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ কমপক্ষে ১২৪ জন। তবে যত সময় গড়াচ্ছে, ওই সংখ্যা উর্দ্ধমুখী। ফলে প্রশাসনের তরফে এখনও সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি। তাইওয়ানের হুয়ালেইতে যে ধরনের তাণ্ডব রাগাসা চালাচ্ছে, তার জেরে ৩৪০ জনের একটি উদ্ধারকারী দল সেখানে গত ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এক নাগাড়ে কাজ করে চলেছে বলে খবর।

রাগাসার প্রভাব হংকংয়ে কতটা

ইতিমধ্যেই রাগাসা হংকংয়ে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ফলে প্রচণ্ড শক্তিশালী ঝড় বইছে সেখানে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে এক নাগাড়ে মুষলধারে বৃষ্টি। রাগাসার প্রভাবে চিনের ১০টি শহরের স্কুল, কলেজ, দোকানপাট সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ যাতে কোনওভাবে এই শক্তিশালী টাইফুনের কবলে না পড়তে পারে, তার জন্য প্রশাসনের তরফে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সুপার টাইফুন রাগাসার গতি 

রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার বিকেলে (স্থানীয় সময় ৫টা) সুপার টাইফুন রাগাসা দক্ষিণ চিনে আছড়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ চিনে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রবল শক্তিশালী টাইফুনের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪৪ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। প্রথমে রাগাসা গুয়াংডং উপকূলে আছড়ে পড়বে। তারপর সেখান থেকে তাণ্ডব চালাবে বলেই চিনের আবহাওয়া দফতরের তরফে মনে করা হচ্ছে।