কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি: ঢাকায় শুরু হতে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman) শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন। সারা বছর ধরে তা উদযাপিত হবে। আগামী ১৭ মার্চ তাঁর জন্মবার্ষিকীর দিন এই উৎসব হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) আমন্ত্রণ (Invites) জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেই প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
সিএএ নিয়ে কিছুদিন আগে বিরোধিতা করে কটাক্ষ করেছিলেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এরপর এই আমন্ত্রণ থেকে প্রমাণিত যে দুইদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বেশ ভালো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে প্রধান বক্তা হবেন নরেন্দ্র মোদিই। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনাও।
আরও পড়ুন, NRC বিরোধী অবরোধকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ২
এই সময়ের খবর অনুযায়ী, অনুষ্ঠানের একদিন আগেই ঢাকাই পৌঁছে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের মধ্যে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে চলছে চাপা উত্তেজনা। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ যাওয়া নিঃসন্দেহে তাত্পর্যপূর্ণ। শেখ হাসিনার শাসনকালে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দেশের পূর্ব সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। কড়া নজরে রয়েছে কট্টরপন্থী সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদ্দিন বাংলাদেশও। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ভারতের বিএসএফ কর্মী এবং বাংলাদেশ রাইফেলস-এর সেনাদের মধ্যেও।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও ভারতীয় উপমহাদেশের একজন অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যিনি বাঙালির অধিকার রক্ষায় ব্রিটিশ ভারত থেকে ভারত বিভাজন আন্দোলন এবং পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি হিসাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের "জাতির জনক" বা "জাতির পিতা" বলা হয়ে থাকে। জনসাধারণের কাছে তিনি শেখ মুজিব এবং শেখ সাহেব হিসাবে বেশি পরিচিত ছিলেন এবং তার উপাধি "বঙ্গবন্ধু"। ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ থেকে ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন ছিলেন।