জেফ বেজোস ও মহম্মদ বিন সলমন(Photo Credits: Wikimedia Commons)

ওয়াশিংটন, ২২ জানুয়ারি: সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন (Saudi Crown Prince Mohammed bin Salman) হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও পাঠিয়েছিলেন অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোসকে (Jeff Bezos)। সেই ভিডিওটিই যত নষ্টের গোড়া, সেটি দেখতে গিয়েই বিপদে পড়লেন জেফ বেজোস। তাঁর মোবাইলে ঢুকে পড়ল অবাঞ্ছিত ম্যালওয়ার। এর জেরে বেজোসের ফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি হতে শুরু করেছে। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান। বেজোসের মোবাইলে রয়েছে প্রখ্যাত টেলিভিশন উপস্থাপিকা লরেন স্যাঞ্চেজের ছবি। দুজনের গোপন বার্তালাপ, অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ছবি। সেসবই নাকি মোবাইল থেকে চুরি গিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্ত্রী ম্যাকেনজির সঙ্গে বেজোসের ২৫ বছরের বৈবাহিক জীবনে বিপত্তির কালো ছায়া পড়তে শুরু করেছে। স্যাঞ্চেজের সঙ্গে বেজোসের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এখন মার্কিন মুলুকে অন্যতম চর্চার বিষয়।

সংবাদ মাধ্যমে শুধু এই দুজনের প্রেমের গল্পের হুড়োহুড়ি পড়েছে। ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল এলকোয়ারে এই যুগলের খবরে ছয়লাপ। কীকরে তাঁর ফোনের অন্তরঙ্গ বার্তা এনকোয়ারে পৌঁছাল তা জানতে ইতিমধ্যেই বেজোস গাভিন ডি বেকার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসকে বরাত দিয়েছেন। গত বছর এই গাভিন ডি বেকারই খুঁজে বের করেছিল যে অ্যামাজন কর্তার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতানোর জন্য সৌদি আরবের তরফেই  তাঁর ফোন হ্যাক করা হয়। এই কাজে বিভীষণের ভূমিকা পালন করেছিলেন জেফ বেজোসের ভাতৃবধূ। তিনি নাকি এই কাজ করে মোটা টাকাও পেয়েছেন। আরও পড়ুন-China Virus SARS: শিয়রে চিনা ভাইরাসের আতঙ্ক, দেশের বিমানবন্দর গুলিতে জারি সতর্কতা

ডি বেকারের মতে, এই হ্যাংকিয়ের নেপথ্যে রয়েছে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোজ্ঞির হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও। ওয়াশিংটন পোস্টের মালিকানা এখন বেজোসের দখলে। সেখানকারই সাংবাদিক ছিলেন জামাল খাসোজ্ঞি। তাঁর হত্যাকাণ্ডের খবর প্রচুর কভারেজ হয়েছিল ওয়াশিংটন পোস্টে। এটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, মহম্মদ বিন সলমন ওয়াশিংটন পোস্টকে সবথেকে বড় শত্রু হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে। ডি বেকার লিখেছিলেন, খাসোজ্ঞি হাত্যার মূল চক্রী হলেন মহম্মদ বিন সলমন, সিআইএ-র সঙ্গে মার্কিন সেনেটের রুদ্ধার বৈঠকের পরই এই বার্তা প্রকাশ্যে আসে।