Sanae Takaichi. (Photo Credits:X)

Japanese PM Sanae Takaichi: জাপান পেতে চলেছে প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। সূর্যোদয়ের দেশের শাসক দলের প্রধান পদের নির্বাচনে জিতলেন সানায়ে তাকাইচি। 1885 সাল থেকে জাপানের রাজতন্ত্রের অধীনে প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে পেয়েছিল জাপান। তার ১৪০ বছর বাদে জাপান পাচ্ছে মহিলা প্রধানমন্ত্রী। ৬৪ বছরের রক্ষণশীল-জাতীয়তাবাদী নেত্রী সানায়ের দেশের মসনদে বসা সময়ের অপেক্ষা। আগামী ১৫ অক্টোবর জাপানে পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই সানায়ে তাকাইচি-কে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে দেখা যাবে। এর আগে তাকাইচি দেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন। আততায়ীর হাতে খুন হওয়া জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বেশ কাছের মানুষ তাকাইচি হলেন চিন বিরোধী। ২০২১ সালে তাকাইচি এলডিপি দলের প্রধানমন্ত্রী পদের ভোটে দাঁড়িয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শিগেরু ইশাবা। জাপানের অর্থনীতির খারাপ অবস্থা সহ বেশ কিছু কারণে দলের নেতা-কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়তে হয়েছিল ইশাবাকে।

তাবড় তাবড় নেতাদের হারিয়ে পার্টির প্রধান হলেন তাকাইচি, এবার বসবেন দেশের মসনদে

এদিন, জাপানের শাসক দল লিবারল ডেমোক্রাটিক পার্টির মধ্যে হওয়া ভোটে সানায়ে তাকাইচি হারান নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ৪৪ বছর বয়সী কৃষিমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমিকে। তাকাইচি যাকে হারালেন সেই শিনজিরো আবার হলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুনিছিরো কোইজুমি-র ছেলে। এ ছাড়াও দেশের তাবড় তাবড় তিনজন নেতা-মন্ত্রীরও পার্টির এই নির্বাচনে লড়েন। কিন্তু সবাইকে টেক্কা দেন তাকাইচি। একটা সময় তিনি টিভিতে অ্য়াঙ্কারিং করতেন। এরপর রাজনীতিতে আসেন। শিনজো আবের মন্ত্রিসভায় বরাবর গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক পেয়েছে।

জাপান পাচ্ছে প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী

জাপানে গত কয়েক বছরে ঘনঘন বদলে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী

সিংহাসনে বসার ১১ মাসের মধ্যে গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শিগেরু ইশিবা। গত বছর অক্টোবরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন। ফুমিও কিশিদা (Fumio Kishida) তিন বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর তাঁর পরিবর্তে সিংহাসনে বসেছিলেন ইশিবা। গত ১২ বছর ধরে জাপানে একই দল ক্ষমতায় থাকলেও চারজন প্রধানমন্ত্রী পেয়ে গেল দেশ। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় শিনজো আবে আততায়ির হাতে খুন হন। এরপর তাঁর জায়গায় দেশের প্রধান পদে বসেছিলেন ইয়োশিহাউড সুগা। কিন্তু তিনি বছর খানেক দায়িত্বভার সামলানোর পর সরে দাঁড়ালে, ফুমিও কিশিদা প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।

আফ্রিকান অভিবাসীদের অবাধে জাপানের দরজা খুলে ক্ষোভের মুখে পড়েন ইশিবা

গত জুলাইয়ে সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচনে ইশিবার দলের ভরাডুবি হয়। এই হারের দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইশিবা। তবে শুরুতে তিনি প্রধানমন্ত্রী থেকে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর নিজের দলের অন্দরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জোরাল হয়েছিল। জাপান বহু সংখ্যক আফ্রিকান অভিবাসীদের আনার নীতি, আইনশৃঙ্খলার খারাপ দশা, অর্থনীতির খারাপ অবস্থা, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি সহ একাধিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা-র ওপর ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটেছিল সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচনে।