ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি: বাংলাদেশের (Bnagladesh) জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় প্রতিবেশী দেশ। শিমুকে হত্যার পর তিনি পার পেয়ে যাবেন বলে মনে করেন নোবেল কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটানা জেরায় ভেঙে পড়ে, সব স্বীকার করে দেন নোবেল। যার পর থেকে তোলপাড় গোটা বাংলাদেশ। স্বীকারোক্তির পর পুলিশ গ্রেফতার করে রাইমা ইসলাম শিমুর স্বামী নোবেলকে। বুধবার নোবেল এবং তাঁর বন্ধু ফরহাদকে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত নোবেল এবং ফরহাদের হয়ে কোনও আইনজীবীর দেখা মেলেনি। ফলে পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে পুলিশ রিমান্ডে রাখা হবে বলে জানানো হয়।
রাইমা ইসলাম শিমুর (Raima Islam Shimu) চলচ্চিত্রে হাতেখড়ি হয় বাংলাদেশের জনপ্রিয় পরিচালক কাজী হায়াৎ-এর হাত ধরে। রাইমার মৃত্যুর খবরে কার্যত ভেঙে পড়েন কাজী হায়াৎ। এমনকী, সিমুর দুই সন্তান রয়েছে। মাকে ছাড়া তাদের কী হবে বলেও বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমের সামনে ভেঙে পড়েন ওই পরিচালক। পাশাপাশি দোষীদের যাতে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সে বিষয়ে জোর গলায় সওয়াল করেন কাজী হায়াৎ।
গত রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন রাইমা। সোমবার দুপুরে কেরাণীগঞ্জের আলিপুর সেতুর নীচ থেকে অভিনেত্রীর (Actress) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি দ্বিখণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই নোবেলকে নিয়ে সন্দেহ বাড়তে শুরু করে পুলিশের। সোমবার শিমুর স্বামী এবং তাঁর বন্ধুর ফরহাদকে আটক করে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। একটানা জেরায় ভেঙে পডড়েন নোবেল এবং স্বীকার করেন শিমুকে তিনিই খুন করেছেন বলে।
জানা যায়, নৃশংসভাবে খুন করা হয় রাইমা ইসলাম শিমুকে। এরপর মৃত অভিনেত্রীর পায়ের দিক থেকে একটি বস্তা বাধা হয় এবং মাথার দিক থেকে আরও একটি বস্তা সেলাই করে কেরাণীগঞ্জের আলিপুর সেতুর নীচে ফেলে দেওয়া হয়। সোমবার পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় ়মৃতদেহ উদ্ধারের পর তা মর্গে পাঠানো হয়। এরপর শিমুর ভাই গিয়ে দিদির মৃতদেহ শনাক্ত করেন বলে খবর।