Donald Trump (Photo Credit: Instagram)

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ২০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ খরচ করে খেলা ঘুরিয়েছিলেন ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্ক। মাস্কের অর্থ ছাড়া ট্রাম্পের সিংহাসনে বসা কঠিন ছিল। ক্ষমতায় ফিরে বন্ধু মাস্ককে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর ধনীতম বন্ধুর বিপদে ফের এগিয়ে এলেন ট্রাম্প। দেশজুড়ে চলা মাস্ক বিরোধী আন্দোলনে একের পর এক জায়গায় পোড়ানো হচ্ছে টেসলার ইলেকট্রিক গাড়ি। 'বয়কট টেসলা'র আন্দোলনে মাস্ক ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছেন। এমন সময় টেসলার গাড়ি বাঁচাতে এই কারণে নতুন আইনও আনছেন ট্রাম্প।

বন্ধুকে বাঁচাতে ময়দানে ট্রাম্প

মাস্কের টেসলা-র শেয়ার তলানিতে ঠেকার পর বন্ধুকে বাঁচাতে হোয়াইটহাউসে টেসলার প্রচার করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাতে সাময়িকভাবে টেসলার শেয়ার দর চাঙ্গা হলেও, মাস্ক বিরোধী আন্দোলন দাবানলের মত গতি পেয়ে যায়। বয়কট টেসলার ওয়েবসাইটে আরও বেশী মানুষ নথিভুক্ত হতে থাকেন।

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ক্রমশ বড় আকার নিচ্ছে মাস্ক বিরোধী আন্দোলন

গত মঙ্গলবার, লাস ভেগাসে মাস্কের টেসলার শো রুমের সামনে কোম্পানির একের পর এক ইলেকট্রিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাসেও টেসলার শো রুমে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিশেষ বাহিনী নামিয়েও টেসলা বিরোধী আন্দোলন দমানো যাচ্ছে না। এর পলে হু হু করে টেসলার শেয়ার কমতে কমতে মাস্কের সম্পত্তি ক মাসের মধ্যেই অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। টেসলা গাড়ির বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে।

বয়কট টেসলা আন্দোলনে গতি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ইলন মাস্কের ওপর দেশজুড়ে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। মাস্ক যেভাবে প্রশাসনের কোষাগার বাঁচানোর দাবি করে হাজার হাজার সরকারী কর্মীদের চাকরি থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন, একের পর এক সরকারী দফতর বন্ধ করে সাধারণ মানুষদের সমস্যা ফেলছেন, তাতে দুনিয়ার ধনীতম ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের স্বর চড়া হচ্ছে। মাস্কের অর্থের সবচেয়ে বড় উৎস তার ইলেকট্রিক গাড়ি কোম্পানি 'টেসলা'। আর মাস্ক বিরোধী আন্দোলনে 'বয়কট টেসলা', 'ডিলিট এক্স'-এর স্লোগান উঠছে। মাস্ক বিরোধী আন্দোলনে নিউ ইয়র্ক থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা থেকে লাস ভেগাসে টেসলার শো রুমের সামনে বহু মানুষের বিক্ষোভ চলছে।