
Trump Musk Vance: ক দিন আগেও দুজনে ছিলেন প্রাণের বন্ধু। নির্বাচনী প্রচারে রেকর্ড অর্থ খরচ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)কে প্রেসিডন্ট পদে জিতিয়ে এনেছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক (Elon Musk)। নাটকীয় কায়দায় দ্বিতীয়বার মার্কিন সিংহাসনে বসার কৃতিত্বটা মাস্ককেই দিয়েছিলেন ট্রাম্প। পাল্টা মাস্কও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভূয়সী প্রশংসায় বলেছিলেন, একজন পুরুষ হিসেবে আরেকজন পুরুষকে যতটা ভালবাসা দেওয়া যায়, ততটাই তিনি ট্রাম্পকে ভালবাসেন। তাঁর প্রিয় মাস্ককে প্রশাসনে বড় দায়িত্ব দিয়ে DOGE নামের একটা বিভাগও গড়েছিলেন। সেসব এই তো সেদিনের কথা। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় বিষয়টা পুরো ঘুরে গিয়েছে। বাজেট সংক্রান্ত একটা বিলকে নিয়ে ট্রাম্প আর মাস্কের বিবাদ এমন জায়গায় চলে গিয়েছে, যে দুজনে দুজনকে প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন।
ট্রাম্পকে একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন মাস্ক
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মাস্কের ক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যে তিনি এক্স প্ল্য়াটফর্মে সরসারি ট্রাম্পকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইমপিচ করার কথা বলেছেন। ট্রাম্প সরাসরি তোপ দেগে বলেছেন, মার্কিন কোষাগারের খরচ কমাতে তিনি সবার আগে মাস্কের কোম্পানিকে দেওয়া সব ভর্তুকি বন্ধ করবেন। এতে ক্ষোভ আরও বেড়ে যায় মাস্কের। এরপর কোনওরকম রাখঢাক না রেখেই টেসলা, স্পেস এক্স প্রধান ঘোষণা করেছেন, এখনি ট্রাম্পকে ইমপিচ করে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে জেডি ভান্স-কে আনা হোক। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান্সের সঙ্গে মাস্কের ঘনিষ্ঠতার কথা সবার জানা।
দেখুন মাস্কের 'ইমপিচ ট্রাম্প' নিয়ে কী বললেন ভাইস প্রেসিডেন্ট
ভান্স
President Trump has done more than any person in my lifetime to earn the trust of the movement he leads. I'm proud to stand beside him.
— JD Vance (@JDVance) June 6, 2025
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আর দুনিয়ার ধনীতম শিল্পপতি মাস্কের বিবাদে সবচেয়ে অস্বস্তি পড়ছেন জেডি ভান্স সহ বিভিন্ন রিপাবলিকান-রা। কারণ এবার তাঁদের ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হবে। ট্রাম্পের ডেপুটি ভান্স কিন্তু মাস্কের সঙ্গে দূরত্ব করলেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান্স আনুগত্য দেখিয়ে জানালেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমার জীবনে যে কোনও মানুষের থেকে অনেক বেশি কাজ করেছেন, তিনি যে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন, তার ভরসা অর্জন করতে। আমি ওনার পাশে দাঁড়াতে গর্ববোধ করব।"
মাস্কের দাবি, তাঁর জন্যই ভোটে জিতেছেন ট্রাম্প
মাস্কের দাবি তিনি প্রচারে সাহায্য না করলে ট্রাম্প এবার ভোটে জিততে পারতেন না। হাউস ডেমোক্রাটরা জিততেন আর সেনেটে রিপাবলিকনরা ৫১-৪৯ হয়ে যেত। সূত্রের খবর, ট্রাম্প আর মাস্কের সম্পর্ক আরও খারাপ হলে কয়েকজন রিপাবলিকান ট্রাম্পের শিবির ছেড়ে মাস্কের দিকে চলে আসবেন। সেক্ষেত্রে মাস্ক যদি ডেমোক্রাটদের হাত ধরে ফেলেন, মাস্কের গদি বাঁচানো অনেকটা কঠিন হয়ে যাবে। তবে ট্রাম্প-মাস্ক-কে ফের কাছাকাছি আনার জন্য শেষ চেষ্টা করছেন হোয়াইটহাউসের কয়েকজন কর্তা।