খুব শিগগির অপহৃত শিখ তরুণীকে তাঁর পরিবারের কাছে ফেরানো হবে, সমালোচনা ঠেকাতে মুখ খুললেন পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর
জগজিৎ কৌর(Photo Credit: Twitter)

ইসলামাবাদ, ৩ সেপ্টেম্বর:  খুব শিগগির অপহৃত শিখ তরুণীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই মর্মে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর মহম্মদ সারওয়ার হোসেনের লাহোরের বাড়িতে অপহৃত তরুণীর পরিবার ও অপহরণকারী যুবকের পরিবারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে। গত মাসেই ওই শিখ তরুণীকে বল পূরিবক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় এক দুষ্কৃতীদল। তারপর তাকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানোর পর এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। সেই বিয়ের ভিডিও ভাইরাল হতেই অপহৃত তরুণীর পরিবারের নজরে আসে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এক ভিডিও বার্তায় আত্মহত্যার হুমকি দেন তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। জানানো হয় তাঁদের মেয়েকে না ফেরাতে গোটা পরিবার আত্মহননের পথ বেছে নেবেন। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের কাছে দরবারও করেন তাঁরা।

বছর আঠারোর ওই তরুণী নানকানা সাহিবের বাসিন্দা। তাঁর বাবা স্থানীয় একটি গুরুদ্বারের গ্রন্থি (পুরোহিত)। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তরুণীর পরিবার জানায়, বাড়িতে ঢুকে জগজিৎকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছে এক দল দুষ্কৃতী। জোর করে তাঁকে ধর্মান্তরিত করিয়ে স্থানীয় এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, সব জেনেও সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে না পুলিশ। বোনকে না ফেরালে সপরিবার গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন তরুণীর দাদা। এক দিকে গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পাকিস্তান করতারপুর করিডর খুলে দেওয়ার কথা বলছে। তখন নানকানা সাহিবে (গুরু নানকের জন্মস্থান) এই ঘটনায় ভারত সরকারের কাছেও দরবার শুরু করে শিখ সংগঠনগুলি। আজ ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানায়, ঘটনাটি নিয়ে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আর্জি জানান। তার পরেই দ্রুত পদক্ষেপ করে পাক পুলিশ। আরও পড়ুন-পাকিস্তানে দেড় হাজার বছরের প্রাচীন মন্দিরের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার শিব-গণেশ-হনুমান মূর্তি

সোমবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Punjab CM Captain Amarinder Singh) এক টুইটবার্তায় বলেছেন, ওই অপহৃত শিখ তরুণী যদি ভারতে বসবাস করতে চান। তবে তার বন্দোবস্ত করা হতে পারে। পাকিস্তানে এক শিখ তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করার পর মুসলিম যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এত বড় অপরাধের কোনও কিছুই আটকাতে পারেননি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Pakistan Prime Minister Imran)। এখনও অভিযুক্তরা শাস্তি পেল না। দিল্লিতে এনিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তিন মূর্তি মারেগ পাক প্রধানমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ হয়।