করাচি, ৩ সেপ্টেম্বর: পাকিস্তানের দেড় হাজারের বছরের পুরনো পঞ্চমুখী হনুমান মন্দিরের (Panchmukhi Hanuman Mandir)মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল শিব, গণেশ, হনুমান সহ বেশ কয়েকটি মূর্তি-বিগ্রহ। মোট ৮টি মূর্তি মাটির তলা থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। এই মূর্তিগুলি উদ্ধারের ফলে করাচি শহরের রহস্যময় এই মন্দিরটির উৎস সম্পর্কে জানা যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে। ধুপ-ধুনো, পবিত্র মন্ত্রোচ্চারণ আর আরতির আলোয় উজ্জ্বল এই হনুমান মন্দির। বলা হয়ে থাকে যে কোনও মানুষ এই পঞ্চমুখী হনুমান মুর্তি তৈরি করেননি। এই মন্দিরের নির্মাণ হয় অষ্টাদশ শতকে৷ পুনর্নিমাণ হয় ১৮৮২সালে৷ ৫টি রূপে বজরঙ্গবালীকে এই মন্দিরে আরাধনা করা হয়। নরসিংহ, আদিবারাহা, হায়াগ্রীবা, হনুমান ও গারুদা।
হিন্দুদের দাবি পাকিস্তানের করাচি শহরের এই হনুমান মন্দিরটি প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে পাঁচটি রূপে এখানে হনুমানকে পুজো করা হয়ে থাকে। এই পাঁচ রূপ হল - নরসিংহ, আদিবারাহা, হায়াগ্রীবা এবং গারুদা। হলুদ রঙের পাথরে খোদাই করা এই বিগ্রহ। বনবাসের সময় শ্রী রামচন্দ্র এই মন্দিরে এসেছিলেন বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। এই বিশ্বাসের পরেই নাকি এখান থেকে হনুমানের আট ফুট লম্বা একটি নীল-সাদা রঙের মূর্তি উদ্ধার হয়েছিল। আরও পড়ুন-ভারতকে মারতে দেড়শো-দুশো গ্রামের পরমাণু বোমা রয়েছে, হুমকি দিলেন পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী
পাকিস্তানে বিভিন্ন সময়ে মন্দির ভাঙার ঘটনা ঘটে। কিন্তু নানা উত্তাল সময় পেরিয়ে করাচিতে আলো করে আছে হনুমান মন্দির। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৩০০টি মন্দির ছিল। কিন্তু, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভেঙে যাওয়ার পর, পাকিস্তানের বেশিরভাগ মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।