পরনের পোশাকে আরবি হরফে লেখা, সেই কারণে জনতার হাতে হেনস্থা হতে হল এক মহিলাকে। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোরে। মহিলাকে একদল লোক ঘিরে রাখার পর পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে পাকিস্তানের একটি রেস্তোরাঁয় এক মহিলাকে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বসে থাকতে দেখা যায়। এবং ওই মহিলাকে উদ্ধার করতে আসা এক মহিলা পুলিশ অফিসারকে ভিড়কে কোনো ধরনের সহিংসতায় না জড়ানোর আহ্বান জানাতেও দেখা যায়। পরে সেই মহিলা পুলিশ তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করে।
🇵🇰 Vicious mob attacked woman for blasphemy in Lahore market
They claimed her clothes had Quranic verses written on them pic.twitter.com/xGOxmWUUFg
— AwesomeMughals (@AwesomeMughals) February 25, 2024
পাকিস্তানের পঞ্জাব পুলিশ লিখেছে, "গুলবার্গ লাহোরের সাহসী এসডিপিও এএসপি সৈয়দা শেহরবানো নকভি হিংস্র জনতার ভিড়ের হাত থেকে একজন মহিলাকে বাঁচাতে নিজের জীবনকে বিপদে ফেলেছিলেন৷ এই বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য পঞ্জাব পুলিশ তাঁকে পাকিস্তানে আইন প্রয়োগকারীর জন্য সর্বোচ্চ বীরত্ব পুরস্কার কায়েদ-ই-আজম পুলিশ মেডেল (QPM) এর জন্য তার নাম সুপারিশ করেছে৷
ঘটনাটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে অন্য একটি ভিডিওতে মহিলা পুলিশ অফিসার জানান , "মহিলা তার স্বামীর সঙ্গে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। তিনি যে কুর্তাটি পরেছিলেন যাতে আরবি হরফে কিছু কথা লেখা ছিল। কিছু লোক সেটি দেখে জানায় পরনের পোশাকে পবিত্র কোরানের বার্তা লেখা রয়েছে। এবং সেই নিয়ে তারা মহিলার ওপর চড়াও হন।'
পরে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ওই মহিলা। অনলাইনে শেয়ার করা ভিডিওতে তিনি বলেন, "আমি কুর্তাটি কিনেছিলাম ভালো ডিজাইন দেখে, কিন্তু তার জন্য মানুষ এভাবে ভাববে ভাবিনি। আমার কোরানকে অবমাননার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না, আমি ঘটনার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। "
WHOAH! A Pakistani woman who was attacked for wearing clothes with Arabic text on them is being forced to apologize in police custody in front of the Islamists, who accused her of blasphemy.
SHOULDN'T POLICE BE RATHER TAKING ACTION AGAINST THE EXTREMIST MULLAHS!?
SHAMEFUL! pic.twitter.com/45uMlD58HM
— Taha Siddiqui (@TahaSSiddiqui) February 25, 2024