PTI Supporters on Road (Photo Credit: @AJEnglish/ X)

পাকিস্তানের নির্বাচনে ব্যাপক রিগিং, অনিয়ম, গণনায় বড় কারচুপি হয়েছে। এমন কথা স্বীকার করে পদত্যাগ করলেন রাওয়ালপিন্ডির নির্বাচন কমিশনার লিয়াকত আলি ছাথা। তাঁর সঙ্গে একই নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আরও ২০ জন কর্তা ইস্তফা দিয়েছে। ইমরান খানকে হারানোর জন্য গোটা নির্বাচনটাকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে।

এমন অভিযোগে শুধু পাকিস্তান নয়, আমেরিকা-ইউরোপেও ঝড় উঠেছে। ফল ঘোষণার বেশ কয়েক দিন পরেও এখনও পাকিস্তানে রিগিংয়ের অভিযোগে বড় প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে।

দেখুন খবরটি

এরই মাঝে রাওয়ালপিন্ডি সহ পাকিস্তানের অন্তত ৯টি প্রদেশে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কমিশনার লিয়াকত আলি ছাথা ইস্তফা জমা দিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন। রাওয়ালপিন্ডির প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানালেন, গোটা নির্বাচনটা প্রহসনে পরিণত হয়েছিল এখানে। পুরোপুরি রিগিং হয়েছে। প্রতিবাদ করলে আমায় শাস্তি দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। এত পাপ দেখে আমার মনে হয়েছিল আমি আত্মহত্যা করি। কিন্তু আমি ঠিক করলাম মানুষকে সত্যিটা জানাব। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে বসে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন বিস্ফোরক দাবি করেন কমিশনার লিয়াকত।

এদিকে, নওয়াজ শরিফ, বিলওয়াল ভুট্টোরা একজোট হয়ে ইমরান খানকে সরাতে সরকার গড়তে আগ্রহী হলেও, এখনও জট ছাড়ছে না। পিপিপি প্রধান আসিফ আলি জারদারি রাষ্ট্রপতি আর নওয়াজ শরিফের ভাই শেহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হবেন-এমন সমাধান সূত্র আটকে দুই দলের কিছু নেতা বেঁকে বসায়। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের আম নাগরিক যারা নির্বাচন হলে সব মিটে যাবে ভেবেছিলেন, তারা এখন বলছেন, নির্বাচন এসে পাকিস্তানকে আরও ঘেঁটে দিল।