Imran Khan: রাসায়নিকের সাহায্যে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কাটা হোক, নিদান দিলেন ইমরান খান
(Photo Credits: PTI)

ইসলামাবাদ, ১৫ সেপ্টেম্বর: “ধর্ষণের এক ও একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত পুরুষাঙ্গ কর্তন।” সন্তানদের সামনে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা পাকিস্তান। এই প্রসঙ্গেই সোমবার এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, সারা দেশে যৌন হিংসা বাড়ছে। তাই সমাজ ব্যবস্থাকে বদলানোর কোনও দরকার নেই, শর্টকাটে চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া উচিত প্রকাশ্যে। প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হলেও, নারকীয় ঘটনাটি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ৯ সেপ্টেম্বর রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে লাহোর থেকে গুজরানওয়ালা প্রদেশে যাচ্ছিলেন ৩০ বছরের এক তরুণী। হাইওয়েতে হঠাৎ তেল শেষ হয়ে যাওয়াতেই ঘটে বিপত্তি।

এই পরিস্থিতিতে পেট্রোলপাম্প খুঁজতে স্বামীকে ফোন করছিলেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, সেই সময়ই দুই যুবক তাঁর উপরে চড়াও হয়ে সন্তানদের সামনেই নারকীয় নির্যাতন চালায়। মহিলার সঙ্গে থাকা টাকা ও কার্ডও কেড়ে নিয়ে পালায় তারা। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ, এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ পাল্টা দোষ দেয় ধর্ষিতা ওই মহিলাকে, কেন তিনি কোনও পুরুষসঙ্গী ছাড়া একা রাতের রাস্তায় বেরিয়েছেন! এর পরেই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। পথে নামে নানা মানবাধিকার সংগঠন। হাজার হাজার পোস্টারে ছেয়ে যায় পথ। চাপের মুখে পড়ে বৃহস্পতিবারই ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার অভিযুক্ত দু’জনের ছবিও প্রকাশ করে পুলিশ। তাদের ধরিয়ে দিলে ২৫ লাখ পাকিস্তানি মুদ্রা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। রবিবার এক অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করে বলে জানা গেছে, তবে সে এখনও অপরাধ স্বীকার করেনি। দাবি করেছে, সে এই ঘটনায় জড়িত নয়। তার ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে জানা গেছে। এই ধর্ষণের ঘটনায় এবং ধর্ষণ পরবর্তী পুলিশি অমানবিকতায় যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে, তাতে পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। আরও পড়ুন-PM Narendra Modi's 70th Birthday: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭০-তম জন্মদিন উপলক্ষে ৭০ হাজার চারাগাছ রোপণে উদ্যোগী সুরাট

এরপরেই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, ওই মহিলা যে কারও বোন বা স্ত্রী হতে পারেন, এ দেশে মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়! যে পুলিশের কাজ অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া, সে কোন যুক্তিতে মহিলার একা বেরনো নিয়ে প্রশ্ন তোলে! এদিকে প্রতিবাদের ঝড়কে থামাতে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কাটার নিদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিকে প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্য নিয়ে পাকিস্তানে ফের হইচই পড়েছে। যদিও ইমরানের ব্যাখ্যা, এই ধরনের ক্যাপিট্যাল পানিশমেন্ট নিয়ে যতবার কথা হয়েছে ততবার দেখা গেছে আন্তর্জাতিক মহল থেকে আপত্তি এসেছে। সেই কারণে অপরাধের তীব্রতা অনুযায়ী ‘ডিগ্রি’ নির্ধারণ করে রাসায়নিক ভাবে বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গ বাদ দেওয়া উচিত বলেই মনে করেন তিনি।