PIA, Representational Image (Photo Credit: Twitter/Facebook)

দিল্লি, ৪ মার্চ: পিআইএ-র (PIA) বিমানে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে কানাডায় যাওয়ার পরই কর্পূরের মত উবে যাচ্ছেন বিমানসেবিকারা। পিআইএ-র বিমানে কানাডায় পৌঁছনোর পর কর্মীরা কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে ধ্বন্দ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মারিয়ম রাজা নামে পিআইএ-র একটি বিমান ইসলামাবাদ থেকে উড়ে কানাডায় যায়। কানাডার টরন্টোতে গিয়ে যে হোটেলে মারিয়ম ছিলেন, সেখান থেকে তিনি আর ফেরেননি। রাত কেটে সকাল হলেও, ফেরার বিমানে দেখা যায়নি মারিয়মকে। পিআইএ-কে চিঠি লিখে মারিয়ম কোথায় গেলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কাউকে কিছু না জানিয়ে মারিয়ম রাজার এই নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে বেপাত্তা হওয়ার আগে পিআইএ-কে ধন্যবাদ জানান মারিয়ম।

আরও পড়ুন: Pakistan PM Shehbaz Sharif: সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে হবে, দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়ে বললেন শেহবাজ শরিফ

মারিয়ম রাজার পাশাপাশি জিবরান বালোচ নামে আরও এক কর্মী কানাডায় গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। কানাডা থেকে ফেরার সময় জিবরান বালোচকে বার বার খুঁজেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। ফলে তাঁকে ছাড়াই পিআইএ-র বিমানকে কানাডা থেকে পাকিস্তানে ফিরতে হয় বলে খবর।

পিআইএ-র কর্মীদের পরপর কানাডা থেকে বনিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় জল্পনা ছড়িয়েছে। কানাডায় নাগরিকত্ব পাওয়া বেশ সহজ, সেই কারণেই অর্থনৈতিকভাবে অস্থির পাকিস্তানে আর পিআইএ কর্মীরা থাকতে চাইছেন না বলে মনে করছেন অনেকে। রাষ্ট্রসংঘে শরণার্থীদের যে হাই কমিশন রয়েছে, তাদের বিবৃৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোনও কোনও নাগরিক নিজের দেশে নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় থাকেন, তাহলে তিনি অন্য দেশের অ্যাসাইলামে আবেদন করতে পারেন থাকার জন্য। অ্যাসাইলামের তরফে যদি সেই আবেদন গ্রাহ্য করা হয়, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্য দেশে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করতে পারেন বলে জানানো হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের তরফে।

২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানে যে অর্থনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে,তার জেরেই পিআইএ-র কর্মীরা দেশ ছেড়ে বিদেশে নিখোঁজ হতে শুরু করেছে বলে অনুমান বিভিন্ন মহলের।