গত মঙ্গলবার সকাল থেকে আচমকাই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বিখ্যাত এই স্ক্রিনরাইটারের। পরিবারে তরফ থেকে দায়ের করা হয় মিসিং ডায়েরি। তদন্তে নেমে জানা যায় অপহৃত হয়েছে খালিলুর। অবশেষে শনিবার সে নিজেই ফিরে আসেন। আসার পর থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে সে বলে, এক মহিলা পাঠানো ঠিকানায় গিয়ে তিনি বিপদে পড়েন। মহিলা সহ জনা সাতেক দুষ্কৃতি তাঁকে আটক করে টাকা, গয়না, আইফোন ছিনতাই করে। এমনকী জোর করে এটিএমের পিন নিয়ে আড়াই লক্ষ নগদ টাকা তুলে নেয় তাঁরা। ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই মহিলা ও তাঁর সহযোগীরা।

রবিবার সুন্দর থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে খালিলুর বলেন, সোমবার গভীর রাতে তাঁর কাছে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের মহিলার ফোন আসে। ফোনে মহিলা নিজেকে আমনা পরিচয় দেন এবং বলে যে সে তাঁর বড় ভক্ত এবং একটি নাটকের জন্য তাঁকে স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ দিতে চান। এবং এর বিনিময়ে তাঁকে পারিশ্রমিকও দেওয়া হবে। এরপর মহিলা তাঁকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাতে ঠিকানা দেন। পরেরদিন ভোর চারটের সময় ওই ঠিকানায় হাজির হল খালিলুর। মহিলাটি দরজা খোলার পর ঘরের ভেতরে ঢুকতেই সে দেখে জনা সাতেক লোক সেখানে রয়েছে।

এরপর তাঁর চোখ, হাত, পা বেধে মারধর করে বলে অভিযোগ। তারপর তাঁর থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা, আইফোন. গয়না এবং ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড হাতিয়ে নেয়। প্রথমে তাঁর থেকে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি করে আততায়ীরা। কিন্তু অনেক অনুরোধ করার পর আড়াই লক্ষ টাকায় রাজি হয় দুষ্কৃতিরা। এরপর এটিএম থেকে সব টাকা তুলে নিয়ে গত শনিবার চোখ বেধে একটি ফাঁকা জায়গায় ছেড়ে দেয় তাঁকে। তারপর সেখানে থেকে বাড়িতে যান খালিলুর। এরপর রবিবার থানায় এসে অভিযোগ জানায় সে।