করাচি বিমান দুর্ঘটনা (Photo Credits: Twitter)

করাচি, ২৫ মে: দিন কয়েক আগে করাচিতে (Karachi) দুর্ঘটনার মুখে পড়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার (PIA) বিমান (Flight)। বিমানের উচ্চতা এবং গতি সম্পর্কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সতর্কতা উপেক্ষা করে বিমানটির পাইলট অবতরণ করে। শনিবার করাচি বিমানবন্দরের নিকটবর্তী একটি বসবাস এলাকায় বিমান ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় এ৩২০ এয়ারবাস লাহোর থেকে করাচিতে ৯১ জন যাত্রী ও আট জন ক্রু সদস্য নিয়ে যাচ্ছিল। যাত্রীবাহী ৯৯ জনের মধ্যে ৯৭ জন মারা যান এবং মাত্র দু'জন যাত্রী বেঁচে যান।

এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লাইটটি লাহোর বিমানবন্দর থেকে বেলা ১ টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে এবং স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে নামার কথা ছিল। আড়াইটায় বিমানটি করাচি থেকে মাকলির ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে ৭,০০০ ফুটের পরিবর্তে ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়ছিল। তখন বিমানের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ বিমানটির উচ্চতা হ্রাস করার জন্য পাইলটকে প্রথম সতর্কতা জারি করেছিল। আরও পড়ুন, উপত্যকায় সেনা অভিযানে চলল গুলির লড়াই, নিকেশ ২ জঙ্গি

বিমানের উচ্চতা হ্রাস করার পরিবর্তে পাইলট বলে তিনি সন্তুষ্ট। করাচি বিমানবন্দর পর্যন্ত যখন কেবল দশ নটিক্যাল মাইল বাকি ছিল, বিমানটি ৩,০০০ ফুটের পরিবর্তে ৭,০০০ ফুট উচ্চতায় ছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিমানের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ বিমানের উচ্চতা হ্রাস করতে পাইলটকে দ্বিতীয় সতর্কতা জারি করেছিল। তবে, পাইলট আবার বলেন যে সব ঠিক আছে এবং পরিস্থিতি সামলে নিতে পারবেন, তিনি অবতরণের জন্য প্রস্তুত। পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (পিসিএএ) জানায়, বিমানের ইঞ্জিনগুলি বিমানটি অবতরণের প্রথম চেষ্টায় রানওয়েটি তিনবার স্ক্র্যাপ করে ফেলেছিল। যারফলে ঘর্ষণ হয়ে আগুনের ফুলকি সৃষ্টি করে।