লন্ডন, ৯ অক্টোবর: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর- বিমুদ্রাকরণ (Demonitisation) হয়েছিল ভারতে (India)। ভারতের বাজারে কালো টাকা (Black Money) রুখতে এমন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার (Narendra Modi Government)। তারপর বিতর্ক- পাল্টা বিতর্ক ছাপিয়ে দ্বিতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসেছেন নমো। তারপরেও দেশে কাল টাকার আধিক্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে হামেশাই। এবার খবর মিলল সন্ত্রাসের (Terrorism) পুঁজির ভিত্তি শক্ত করতে ভারতের বাজারে জাল টাকা ছড়িয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান (pakistan)। কালো টাকা প্রস্তুতকরণ থেকে শুরু করে চোরাপথে (Consignment) কালো টাকা ভারতে আনতে মরিয়া হয়ে উথেছে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি (Terrorist Group)। যাদের মধ্যে রয়েছে- লস্কর-ই-তইবা (Laskar-E-Taiba), জইশ-ই-মহম্মদ-এর (Jaish-E-Muhammad) মত জঙ্গি সংগঠনগুলি।
জানা গিয়েছে, নেপাল, বাংলাদেশ (Bangladesh) সহ বিভিন্ন দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলি ব্যবহার করে নিজেদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তারা। পাক গুপ্তচর সংস্থা (Secret Agency) আইএসআই (ISI) সূত্রে খবর মিলেছে, এই সমস্ত সংবাদ মাধ্যমগুলিকে তারা ব্যবহার করছে জাল টাকা নিখুঁতভাবে প্রস্তুত করার কাজে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি নেপালের কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে (Nepal's Kathmandu Airport) ধরা পরেছে এক পাক জঙ্গি সংগঠনের মাথা সহ ৩ সদস্য। বিপুল পরিমাণে জাল টাকা চোরাচালান করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা গিয়েছে তাদের। যাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে ৭৬.৭ মিলিয়ন পরিমাণ টাকা। আরও পড়ুন: 'নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কেউ ভারতে ঢুকবেন না', পালটি খেয়ে সেনা ও নাগরিকদের সতর্ক করলেন ইমরান খান
সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকেও বিপুল পরিমাণে জাল ভারতীয় টাকা উদ্ধার হয়েছে। যার পরিমাণ ভারতীয় হিসেবে ৪.৯৫ মিলিয়ন। উল্লেখ্য, ভারতে কাশ্মীর (Kashmir) থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর ভারতকে নানাভাবে চাপে রাখতে চাইছে পাক সরকার (Pakistan Government)। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নানান পরিষেবা (Service)। কিন্তু তা হয়েছে সরাসরি ঘোষণা করে। তবে এবার পিছন থেকে ভারতে সন্ত্রাস-কালবাজারির মাধ্যমে ভারতে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টির পুরনো চেষ্টাটাই নতুন করে ঝালিয়ে নিতে চাইছে পাকিস্তান।