প্রতি মুহূর্তে যেন আতঙ্কে দিন কাটছে গাজাবাসীর। শনিবার রাতে উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া শহরে ইজরায়েল বাহিনীর হামলায় (Israel Attack on Gaza) প্রাণ গিয়েছে ৭০-এর বেশি স্থানীয়দের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে নারী এবং শিশুও। গভীর রাতে একের পর এক বোমা নিক্ষেপ করে আইডিএফ (IDF)। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে বহু গাজাবাসী। শনিবার ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) বাসভবনের কাছে একটি বিস্ফোরক ড্রোন হামলা চালায় হামাস বাহিনী (Hamas)। সেই হামলায় জেরে ব্যাপক কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও রাত পোহানোর আগেই পালটা হামলা ফিরিয়ে দিল ইজরায়েল (Israel-Hamas War)।
তবে বোমা হামলার জেরে মৃতের সংখ্যা নিয়ে হামাস কর্তৃপক্ষ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে তা মানতে নারাজ ইজরায়েল বাহিনী। মৃতের সংখ্যা ঘিরে দ্বিমত প্রকাশ করছে ইজরায়েল এবং হামাস। আইডিএফ-এর দাবি, হামাস কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রকাশিত পরিসংখ্যান অতিরিক্ত। তাঁদের কাছে থাকা পরিসংখ্যানের সঙ্গে তা মিলছে না।
গাজা উপত্যকায় হামলা চালানোর পাশাপাশি রবিবার সকাল থেকে দক্ষিণ লেবানন এবং রাজধানী বেরটের দক্ষিণে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইজরায়েল। নেতানিয়াহুর দেশের দাবি, গত কয়েকদিনে গাজা ও লেবাননে হামলা চালিয়ে প্রায় ১৭৫টি সন্ত্রাসঘাঁটি ধ্বংস করেছে তারা।
দিন কয়েক আগেই ইজরায়েলি সেনার (IDF) হামলায় মৃত্যু হয়েছে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার (Yahya Sinwar)। প্যালেস্টাইন মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস প্রধানের মৃত্যুকে নিশ্চিত করতে তার ডান হাতের একটি আঙুল কেটে এনেছিল ইজরায়েল সেনা। সিনওয়ার মৃত্যুর পরে একেবারে রণং দেহি রূপ নেয় হামাস বাহিনী। দক্ষিণ হাইফার সিজারিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু-র বাসভবনের কাছে একটি বিস্ফোরক ড্রোন হামলা চালায় হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। তার জবাবেই শনির গভীর রাতে গাজার বেইত লাহিয়ায় বোমা হামলা চালায় ইজরায়েল সেনা (Israel Defence Forces)।