কিম জং উন (Photo Credits: AFP)

সিওল, ২ মে: কাটল না কিম জং উন (Kim Jong-un) বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তার ধোঁয়াশা। বরং রহস্য কাটিয়ে তাঁর বেঁচে থাকার খবর আরও জোরদার হল। উত্তর কোরিয়ার North Korea) সুপ্রিম লিডার কিম জং উনকে প্রায় তিন সপ্তাহ পর প্রথম প্রকাশ্যে আসতে দেখা গেল। একটি কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। পারমাণবিক-সশস্ত্র দেশটির নেতা গুরুতর অসুস্থ বা সম্ভবত মারা গেছেন এমন তীব্র জল্পনা শুরু করার পর এক রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শনিবার এমনটাই জানিয়েছ।

জানা গেছে কিম একটি সার কারখানার উদ্বোধনে অংশ নিয়েছিলেন এবং ছবি প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে যে শুক্রবার পিয়ংইংয়ের উত্তরের সানচনে একটি অনুষ্ঠানে এই নেতাকে লাল ফিতে কাটতে দেখা গেছে, যদিও সত্যতা যাচাই করা যায়নি। উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন তাঁর পিতামহীর জন্মদিন ১৫ এপ্রিলের অনুষ্ঠানে কিমের স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আরও পড়ুন, করোনা প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে রেমডিসিভির ওষুধ প্রয়োগে অনুমতি এফডিএর, স্বীকৃতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের

তার অনুপস্থিতি একাধিক বিতর্কিত গুজব এবং অবিস্মৃত প্রতিবেদনের সূত্রপাত হয় । যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া জোর দিয়েছিল যে কোনও অনুমান সত্য বলে বিশ্বাস করার মতো তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। হঠাৎই কিমের মারা যাওয়ার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। পরে অবশ্য জানা যায় সেটি মিথ্যা। তাঁর আকস্মিক মৃত্যু পিয়ংইংয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অপরিকল্পিত উত্তরাধিকারের মুখোমুখি হয়েছিল এবং কে উত্তরসূরী পারমাণবিক অস্ত্রাগারটি গ্রহণ করবেন সে সম্পর্কে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী তথা প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনায় কোনও আমল দিতে রাজি হয়নি। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, এ ব্যাপারে কোনও অস্বাভাবিক ইঙ্গিত নেই। ২০১৪-তেও কিম জং উনের মাঝেমধ্যেই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যাওয়া নতুন কিছু নয়। এর আগেও ২০১৪-র সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় ৪০ দিন আড়ালে চলে গিয়েছিলেন কিম। পরে যখন প্রকাশ্যে আসেন, তখন তাঁকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। সিওলের গোয়েন্দা সংস্থা তখন জানিয়েছিল, কিম পায়ের গোড়ালির সমস্যায় ভুগছেন।