Kim Jong Un. (Photo Credits: X)

Ukraine War North Korea: রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলু খাগড়ার প্রাণ যায়। এই কথাটা তো দীর্ঘদিনের। কিন্তু উত্তর কোরিয়ায় যা হল, তাকে কি বলা যায়? কোথায় রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। উত্তর কোরিয়ার অনেকেই ইউক্রেনের নামটাও হয়তো শোনেননি। কিন্তু সেই যুদ্ধেই লড়ে প্রাণ দিতে হয়েছে উত্তর কোরিয়ার মানুষদের। ইউক্রেনের যুদ্ধে প্রাণ হারানো উত্তর কোরিয়ান সেনা পরিবারের অসহায় সদস্যরা সর্বশক্তিময় শাসক কিম জং উন-কে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাজধানী পিয়ং ইয়ংয়ে কিম দেখা করলেন ইউক্রেনের যুদ্ধে যাওয়া দেশের সেনাবিহানীর সদস্য ও তাদের পরিবারের সঙ্গে। লোক দেখানো কায়দায় ইউক্রেনের যুদ্ধে শহীদ দেশের সেনাদের স্মৃতিসৌধ্যে সম্মান জানালেন কিম। প্রোপাগান্ডার টিভি ক্যামেরায় কিম জং দেশের শহীদ সেনার পরিবারের চোখের জল মুছে দিচ্ছেন বলে দেখানো হল। কিন্তু যেটা দেখানো হল না, তা হল সেইসব শহীদ পরিবারের সদস্যরা, শহীদদের স্ত্রী, সন্তানরা কিম উন-কে প্রশ্ন করলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধে কেন তাদের প্রিয়জনকে পাঠানো হল? এই যুদ্ধে তাদের কী ভূমিকা? রুশ রক্ত বাঁচাতে তাদের কি দেহের দাম সস্তা বলেই বলিদান দিয়ে বাঁচালেন রাজা?

কিমের সঙ্গে গোপন চুক্তিতে উত্তর কোরিয়ান সেনা ইউক্রেনের যুদ্ধে নামিয়েছেন পুতিন

নিজের দেশের সেনাদের মৃত্যু থেকে বাঁচাতে, ইউক্রেনের যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করার কৌশল নিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যাতে রাশিয়ার সাধারণ মানুষ ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য পুতিনকে দুষতে না পারেন। আর তাই উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গে মোটা অর্থের গোপনীয় চুক্তিতে সেই দেশের সেনাদের (সাধারণ মানুষ সহ) ইউক্রেনের যুদ্ধে পাঠান পুতিন। অচেনা ইউক্রেনে গিয়ে কম প্রশিক্ষীত উত্তর কোরিয়ান সেনারা যুদ্ধে নেমে অনেকেই মারা যান।

দেখুন খবরটি

দেখুন ছবিতে

কেন উত্তর কোরিয়ান সেনা ইউক্রেনে নামিয়েছেন পুতিন

সরকারিভাবে উত্তর কোরিয়ার কতজন সেনা ইউক্রেন যুদ্ধে মারা গিয়েছেন তা জানানো না হলেও, সংখ্যাটা যে হাজারের কম নয় তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন। এবার ইউক্রেনের যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ানের বদলে রুশ সেনারা মারা গেলে পুতিনকে দেশের মানুষদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। আর সেটা এড়িয়ে যেতেই পুতিনের এই কৌশলটা দারুণ কাজে দিয়েছে। ভাগ্যিস উত্তর কোরিয়ানদের কান্নার আর্তিটা সে দেশের সীমান্তের বাইরে যেতে দেন না শাসন কিং জং।