Nobel Awards 2025: চলতি বছর পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন (Nobel Prize in Physics) ব্রিটিশ, ফরাসি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ত্রয়ী বিজ্ঞানী। মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস জানাল, এ বছর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে তিন বিজ্ঞানী ব্রিটেনের জন ক্লার্ক (John Clarke), ফ্রান্সের মিশেল এইচ. ডেভোরে (Michel H. Devoret) এবং আমেরিকার জন এম. মার্টিনিস (John M. Martinis)। বিদ্যুৎ সার্কিটে বড় আকারের কোয়ান্টাম টানেলিং ও শক্তির পরিমাণ নির্ধারণের () আবিষ্কারের জন্য এই তিন বিজ্ঞানীদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত কোয়ান্টাম প্রভাব দেখা যায় পরমাণুর ক্ষুদ্র জগতে। কিন্তু তাঁদের গবেষণা দেখায়, এই প্রভাব বড় মাপের বৈদ্যুতিক সার্কিটেও ঘটতে পারে। নোবেল কমিটির বক্তব্য,"তাঁদের কাজ কোয়ান্টাম বিশ্বের অদ্ভুত নিয়মগুলোকে বাস্তব প্রযুক্তিতে নিয়ে এসেছে, যা ভবিষ্যতের কোয়ান্টাম প্রযুক্তির ভিত্তি গড়ে দেবে।"
পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পেতে চলা তিন বিজ্ঞানীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়-
জন ক্লার্ক (ব্রিটিশ): ১৯৪২ সালের ইংল্যান্ডের কেমব্রিজে জন্ম। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন ১৯৬৮ সালে। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলেতে অধ্যাপক।
মিশেল ডেভোরে (ফরাসি): ১৯৫৩ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে জন্ম। প্যারিস-সুদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন ১৯৮২ সালে। বর্তমানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান্তা বারবারার অধ্যাপক।
জন মার্টিনিস (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র): ১৯৫৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান্তা বারবারার অধ্যাপক। এখানেই মূল গবেষণাগুলি সম্পন্ন হয়েছিল।
দেখুন খবরটি
BREAKING NEWS
The Royal Swedish Academy of Sciences has decided to award the 2025 #NobelPrize in Physics to John Clarke, Michel H. Devoret and John M. Martinis “for the discovery of macroscopic quantum mechanical tunnelling and energy quantisation in an electric circuit.” pic.twitter.com/XkDUKWbHpz
— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 7, 2025
কীভাবে হল যুগান্তকারী আবিষ্কার
১৯৮৪-৮৫ সালে তাঁদের পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয়েছিল সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রনিক সার্কিট, যা বিদ্যুৎ পরিবাহিত করে কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই। এর মূল উপাদান ছিল জোসেফসন জংশন (Josephson Junction) দুটি সুপারকন্ডাক্টরকে আলাদা করে রাখা এক পাতলা ইনসুলেটর স্তর, যার মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন কোয়ান্টাম টানেলিং করে যেতে পারে। এই গবেষণায় দেখা যায়, কণাগুলি এমন বাধাও পার হতে পারে যা ক্লাসিক্যাল পদার্থবিজ্ঞানের মতে অসম্ভব। পাশাপাশি তাঁরা প্রমাণ করেন, বৈদ্যুতিক শক্তি ছোট ছোট নির্দিষ্ট কোয়ান্টাম পরিমাণে বিভক্ত যেমন আলোতে ফোটন থাকে।
নোবেল পুরস্কারের জন্য কত অর্থ পুরস্কার থাকে
এই কাজের ফলেই জন্ম নেয় সার্কিট কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রোডাইনামিক্স (cQED) নামের নতুন গবেষণা ক্ষেত্র, যা আজকের কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রযুক্তির ভিত্তি তৈরি করেছে। মার্টিনিস পরবর্তীকালে গুগলের কোয়ান্টাম কম্পিউটিং টিমে কাজ করেন এবং ২০১৯ সালে গুগলের “Quantum Supremacy” পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১.০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে কোটি টাকা নোবেলের পুরস্কারমূল্য তিন বিজ্ঞানীদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হবে। এটি ২০২৫ সালের দ্বিতীয় নোবেল ঘোষণা। সোমবার জীবক্রিয়া বিজ্ঞান বা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ইমিউন সিস্টেম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।