ইসলামাবাদ, ৩ জানুয়ারি: পাকিস্তানে ফের হামলার মুখে গুরুদ্বার। এবার গুরু নানকের জন্মস্থান নানকানা সাহিবে ঘটল ঘটনাটি। নানাকানা সাহিবের স্থানীয়া বাসিন্দারাই ওই গুরুদ্বার লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। গুরুদ্বারের প্রধান পুরোহিতের মেয়ে জগজিৎ কৌরকে অপহরণ করে মহম্মদ হোসেন। বেশ কয়েক মাসের আগের ঘটনা এটি। এদিন অভিযুক্ত হোসেনর পরিবারই এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে।
জানা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা নানাকানা সাহিব গুরুদ্বার ভেঙে ফেলার হুমকি দিচ্ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুক্রবার রাত সাতটা নাগাদ শুরু হয় হামলা। উত্তেজিত জনতা হিংসাত্মক আকার ধারণ করছে বুঝতে পেরেই সেনা নামানো হয়। একের পর এক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবুও বিক্ষুব্ধদের মধ্যে থেকে একটাই আওয়াজ কোনও শিখ নানকানা সাহিবে থাকতে পারবে না। শুধু তাই নয় বদলে ফেলতে হবে নানকানা সাহিবের নাম। এই জায়গার নাম হবে গুলাম-ই-মুস্তাফা। আরও পড়ুন-US Embassy In Baghdad: এখনই ইরাক ছাড়ুন, কাসেম সোলেইমানি-র হত্যাকাণ্ডের পর স্বদেশীয়দের নির্দেশ বাগাদাদের মার্কিন দূতাবাসের
#BREAKING : Hundreds of angry Muslim residents of #NankanaSahib pelted stones on #GurdwaraNankanaSahib on Friday. They have surrounded the Gurdwara . The mob was lead by the family of Mohammad Hassan the boy who allegedly abducted and converted sikh girl #JagjitKaur . pic.twitter.com/L5A7ggKcD9
— Ravinder Singh Robin ਰਵਿੰਦਰ ਸਿੰਘ راویندرسنگھ روبن (@rsrobin1) January 3, 2020
স্থানীয় সূত্রে যা খবর মিলেছে, এখনও নানকানা সাহিবের গুরুদ্বারের মধ্যেই রয়েছেন অনেক শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ। বাইরে চলছে বিক্ষুব্ধদের পাথর ছোঁড়ার পর্ব। ভয়ে কেউ বাইরে বেরনোর সাহস পাচ্ছেন না। নানকানা সাহিব গুরুদ্বার হল শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। মনে করা হয় শিখ গুরু গুরু নানক ১৪৬৯ সালে এখানেই জন্মেছিলেন। এদিকে বাংলাদেশের এক পুরনো ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে যোগীর রাজ্যের পুলিশকে দোষারোপ করার অভিযোগ উঠল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে। ইমরান ভিডিওটি পোস্ট করে বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের মুসলিমদের উপরে অত্যাচার করছে যোগীর পুলিশ। যদিও সেই ভিডিও যে ভুয়ো তা প্রমাণ হতে সময় নেয়নি। তবে তিনি ভিডিওটি ডিলিট করেছেন বলে খবর।