Taliban Leaders (Photo Credit: Twitter

কাবুল, ৩১ অগাস্ট: বিগত ২০ বছর ধরে টানা যুদ্ধের পর অব্যাহতি আমেরিকার (US)। পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩১ অগাস্ট আমেরিকার শেষ বিমান কাবুল বিমানবন্দর থেকে উড়ে যায়। কাবুল বিমানবন্দর (Kabul Airport) থেকে মার্কিন সেনার (US Troops) শেষ বিমান ওড়ার পর সেখানে অস্ত্র হাতে হাজির হয়ে যায় তালিব যোদ্ধারা। হামিদ কারজাই বিমানবন্দর জুড়ে পাহারা দিতে শুরু করে তালিবান। হাতে বন্দুক নিয়ে বিমানবন্দরের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তালিব যোদ্ধাদের। তালিবান নেতৃত্বকেও দেখা যায়, বিমানবন্দরে হাজির হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে।

মার্কিন সেনা আফগানিস্তান (Afghanistan) ছাড়ার পর কাবুলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তালিবান। সেখানে তালিবান (Taliban) নেতৃত্বকে হাজির হতে দেখা যায়। ২০ বছর ধরে আমেরিকা যেভাবে আফগানিস্তানে যুদ্ধ চালিয়েছে, আজ তার অবসান। ৩১ অগাস্টকে আফগানিস্তানের 'স্বাধীনতা দিবস' বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় তালিবানকে।

আরও পড়ুন: Shilpa Shetty: সন্তানদের নিয়ে রাজ কুন্দ্রার বাড়ি ছাড়ছেন শিল্পা শেট্টি? জল্পনা

কাবুলের ওই অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে গোটা বিশ্বের (World) প্রতি বার্তা দেয় তালিবান। তালিব নেতা মৌলবী দিলাওয়ার ( Mawlawi Delawar) বলেন, কাবুলে যে সমস্ত দেশের দূতাবাস রয়েছে, তারা যেন সেখান থেকে কাজ শুরু করে। পাশাপাশি যে সমস্ত দেশ নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে, তারাও আবার নতুন করে খুলে কাজ শুরু করুক। কোনও দেশের দূতাবাসের উপর হামলা হবে না জানানো হয় তালিবানের তরফে।

তালিবানের আর এক নেতা আমানুল্লা সামাঙ্গানির গলাতেও শোনা যায় কড়া সুর। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের মাটিতে কোনও দেশের অনধিকার প্রবেশ বরদাস্ত করা হবে না। অর্থাৎ দীর্ঘ ২০ বছর পর আমেরিকা আফগানিস্তানের মাটি ছাড়ার পর সে দেশে অন্য কোনও দেশের প্রবেশ তারা বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানানো হয় তালিবানের তরফে। পাশাপাশি আফগানরা দেশ ছাড়বেন না। তালিবানের সঙ্গে একযোগে কাজ করে আফগানিস্তানকে শক্তিশালী দেশে পরিণত করুন বলেও জানানো হয় ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে।