![](https://bnst1.latestly.com/wp-content/uploads/2020/05/Trump-Death-Clock-380x214.jpg)
নিউইয়র্ক, ১২ মে: নিউইয়র্কের (New York) বিখ্যাত টাইমস স্কোয়ারে (Times Square) একটি নতুন বিলবোর্ড বসেছে। তাতে ফুটে উঠেছে আমেরিকার সেইসব হতভাগ্য করোনা রোগীর সংখ্যা, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, অথচ চেষ্টা করলে বাঁচানো যেত। বিলবোর্ডের স্রষ্টার বক্তব্য, যদি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্রুত ব্যবস্থা নিতেন তবে ওই রোগীরা হয়তো বাঁচতেন। তাই বিলবোর্ডের নাম দেওয়া হয়েছে ট্রাম্প মৃত্যু ঘড়ি বা 'ট্রাম্প ডেথ ক্লক'।
এই বিলবোর্ডটি তৈরি করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ইউজেনি জারেকি। করোনার ভয়ে ফাঁকা হয়ে যাওয়া টাইমস স্কোয়ারের একটি বহুতলের মাথায় বসানো হয়েছে এই ঘড়িটি। গতকাল পর্যন্ত ওই ঘড়িতে দেখানো হয়েছে, ৮০,০০০-এর বেশি করোনায় মৃতের মধ্যে ৪৮,০০০-এর বেশি রোগীকে চেষ্টা করলেই বাঁচানো যেত। আরও পড়ুন, ট্রেনে ওঠার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তবেই ছাড়, যাত্রীদের তথ্য তুলে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের হাতে
গোটা বিশ্বের মধ্যে আমেরিকাতেই এখনও পর্যন্ত করোনায় সব থেকে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। জারেকির বক্তব্য, ৬০ শতাংশ করোনা মৃত্যুর কারণ ট্রাম্প প্রশাসন। যদি তারা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বাধ্যতামূলক করত ও যে সময়ে লকডাউন করত তবে পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ হয়ে উঠত না। বিখ্যাত মার্কিন সংক্রমিত রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফসি এই ‘অবহেলাকৃত’ মৃত্যুর ব্যাপারে যে মন্তব্য করেন। ফসি বলেছিলেন, যদি আরও আগে থেকে রোগ প্রশমনের ব্যবস্থা করা হত, তবে আরও বেশি প্রাণ বাঁচত। যে প্রাণগুলি বিনা দোষে এভাবে ঝরে পড়ল, তাদের দাবি, সঙ্কটকালে আরও দায়িত্বশীল প্রশাসন চেয়ে আমাদের দাবি প্রয়োজন।
" যেভাবে মৃত সৈন্যদের নামের তালিকা স্মৃতিসৌধে খোদাই করা থাকে, যাতে আমরা যুদ্ধের প্রকৃত মূল্য বুঝতে পারি, তেমনই প্রেসিডেন্টের দেরিতে সক্রিয় হওয়ার ফলে খোয়া যাওয়া এই প্রাণের সংখ্যা এভাবে জানান দিয়ে জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালন করা হবে। "