কাঠমাণ্ডু: এক নাবালিকাকে (Minor) ধর্ষণে (Rape) অভিযুক্ত নেপাল (Nepal) ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক সন্দীপ লাছিমানকে (Sandeep Lamichhane) রায় না হওয়া পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে (Judicial custody) রাখার নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার কাঠমা জেলা আদালতের (Kathmandu District Court) তরফে জানানো হয়, এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি (Final hearing) ও রায় (Verdict) না হওয়া পর্যন্ত সন্দীপকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হবে।

এপ্রসঙ্গে কাঠমাণ্ডুর পুলিশ সুপার জানান, আদালতের নির্দেশে যতক্ষণ পর্যন্ত না এই মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে ততক্ষণ ওই স্টার ক্রিকেটারকে সেন্ট্রাল জেলে (Central jail) রাখা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে লাছিমানকে ১২ বছরের সাজা দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত লাছিমান প্রথম থেকে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করছেন।

তিনমাস আগে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল সন্দীপের বিরুদ্ধে। তারপর থেকে পলাতক থাকার পরে তাঁকে ধরতে ইন্টারপোলের (Interpol) সাহায্য নেয় নেপাল পুলিশ (Nepal Police)। গত বৃহস্পতিবার সকালে তিনি নেপালে ফিরে আসেন তারপর থেকেই জেরা চলছিল। তবে এই অভিযোগ ওঠার পর থেকে বারবার নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন সন্দীপ।

সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখ নেপাল পুলিশের কাছে লামিছানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনে এক নাবালিকা। পরেরদিনই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় সন্দীপের নামে। এমনকী তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে সাসপেন্ড করে নেপাল ক্রিকেট বোর্ড। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে একটি পোস্ট করেন সন্দীপ। জানান, ক্যরিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে মাঝপথে বিরতি নিয়ে দেশে ফিরে আসবেন। তারপর আইনি লড়াই করে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত করবেন।

কিন্তু, এই দাবি করার পরেও দীর্ঘদিন বেপাত্তা ছিলেন সন্দীপ। শেষ পর্যন্ত নেপাল পুলিশের মনে হয়েছে, ইন্টারপোলের সাহায্য ছাড়া সন্দীপকে নেপালে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। সন্দীপের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে ইন্টারপোল। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে দু’বছর দিল্লি ক্যাপিটালস দলের হয়ে আইপিএল খেলেছিলেন তিনি। মোট ন’টি ম্যাচ খেলে ১২টি উইকেট পেয়েছিলেন এই স্পিনার। নেপালের একমাত্র খেলোয়াড় হিসাবে আইপিএলে (IPL) সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই নেপাল ক্রিকেটের পোস্টার বয় (Poster boy) হিসেবে উঠে আসেন।