Over 1,000 injured (Photo Credit: X)

গত সোমবার থেকে জেন-জি বিক্ষোভে (Nepal Gen-Z Protest) উত্তপ্ত নেপাল। বাংলাদেশের ধাঁচেই যুবসমাজের প্রতিবাদে পদত্যাগ করে দেশ ছে়ড়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। ওলি দেশ ছাড়ার পর চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয় গোটা দেশে। জেল থেকে পালাচ্ছেন বন্দিরা, মার খাচ্ছেন কমিউনিস্ট নেতা-মন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবার পরিজনেরা। এরমধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন বহু মানুষ। এছাড়া সরকারী সম্পত্তি নষ্ট, সংসদ ভবনে হামলা, প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির বাসভবনে ভাঙচুড়, মিডিয়া হাউসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতোও ঘটনাও ঘটেছে বিগত কয়েকদিনে।

বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সংসদ ভবনে তরফে

গোটা দেশের অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার সংসদ ভবনের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ও জাতীয় পরিষদের চেয়ারপারসনের তরফে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, গত সোমবার বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। সেই ঘটনায় প্রতিবাদী যুবকদের মৃত্যু ও কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাণ হারানো পুলিশকর্মীদের মৃত্যুতে গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। সেই সঙ্গে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হচ্ছে।

মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১

প্রসঙ্গত, পড়শি দেশে এখনও পর্যন্ত দু’পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫১ জনের। যাঁদের মধ্যে জেন-জি আন্দোলনকারী, পুলিশ সহ একাধিক মানুষ রয়েছে। বিক্ষোভের মধ্যে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দেশের অর্থমন্ত্রীর। তাঁকে খালে ফেলে মারধর করেছে ক্ষুব্ধ জনতা। এছাড়া একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পরিবারের ওপরেও হামলা করা হয়েছে।