Bangladesh and Nepal Protest. (Photo Credits:X)

Nepal Protest Live Update: গত বছর জুলাই-অগাস্টে যেমনটা হয়েছিল বাংলাদেশে, তেমনটাই কি হওয়ার পথে নেপাল? বাংলাদেশে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে মুখ ছিল দেশের ছাত্ররা, আর এবার নেপালে আন্দোলনে মুখ তরুণ প্রজন্ম, এখন যাদের বলা জেন জি। নেপালে ফেসবুক, ইউ টিউব সহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও দেশে লাগামছাড়া দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে চলল গুলি, নামল সেনা। রণক্ষেত্র পরিণত হয়ে পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গুরুতর জখম আড়াইশোর বেশি। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই কিশোর, তরুণ। এত বড় কাণ্ডের পর ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা নেপাল। গদি হারাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বাংলাদেশের মত বেশ কিছু জটিল বিষয়ে নয়, নেপালে একবারে আপাত সাধারণ ইস্যুতে প্রতিবাদ আন্দোলন থেকে রণক্ষেত্রে পরিণত হল। যার পিছনে অনেকেই প্রশাসনের গাফলতিকেই দায়ি করছেন।

দেখুন ছবিতে

রক্তাক্ত নেপাল, পথে লুটিয়ে পড়ল তরুণদের দেহ

কদিন আগেই নেপালে ফেসবুক, ইউ টিউব, এক্স (টুইটার) সহ মোট ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যান করে নেপাল সরকার। ওই সব সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলি নথিভুক্ত না হওয়ার কারণেই ব্যান করা হয় বলে জানায় নেপাল সরকার। এর ফলে বাক-স্বাধীনতায় আঘাত হানা হচ্ছে এমন অবিযোগের প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে রাজধানী কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন সাংবাদিকরা। সোমবার দুপুরে নেপালের সংসদ ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন নেপালের তরুণ, কিশোররা (জেন জি-রা)। মুখে কালো কাপড় ঢাকা দিয়েও অনেককে জড়ো হতে দেখা যায়। প্রতিবাদীরা ক্রমশ সংসদ ভবনের সামনে এগিয়ে যেতে থাকে। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের দিকে এগোতেই পুলিশ টিয়ার গ্যাস, জলকামান ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে ভিড় ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।

দেখুন নেপালে বিক্ষোভের ভিডিও

শ্যুট অ্যাট সাইটের নির্দেশেই বিপত্তি

এরপরও থামানো যায়নি তাদের। নিউ ভানেশ্বরে (New Baneshwar) সংসদ ভবনের একেবারে সামনে থেকে প্রতিবাদীরা আগুন ছোড়ার চেষ্টা করে। সংসদ ভবনের গেট আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার পর নিরাপত্তা বাহিনীকে ‘শুট-অ্যাট-সাইট’ নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ এরপর গুলি চালাতে শুরু করে। নামানো হয় সেনা। পুলিশের গুলির আঘাতে লুটিয়ে পড়তে থাকেন একের পর এক বিক্ষোভকারীরা। টিঙ্কুনে চৌক ও সিংহ দরবার-সহ একাধিক এলাকায় রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।

দেখুন ভিডিও

দুর্নীতিবিরোধী স্লোগান ক্রমশ জোরালো হচ্ছিল

নেপালের সংবাদমাধ্যমগুলিতে জাাননো হয়, প্রথমে জাতীয় পতাকা ও দুর্নীতিবিরোধী স্লোগানে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও পুলিশের রুদ্রমূর্তিতে হিংসা ছড়ায়। মূলত জেন-জি প্রজন্মের নেতৃত্বেই আন্দোলন এগোতে।