নেপালে গত কয়েকদিন ধরে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।শনিবার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যান চলাচলও বিঘ্নিত হয়েছে।কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিমালয় কোলে থাকা দেশের অধিকাংশ নদনদীর জল বেড়ে আশপাশের রাস্তা ও সেতুর ওপর উঠে গেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার বার্ষিক বৃষ্টির মরশুম স্বাভাবিক সময়ের এক সপ্তাহ পর শেষ হতে চলেছে। এই সময়টিতে পুরো অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। নেপাল পুলিশের মুখপাত্র দান বাহাদুর কারকি জানান, মহাসড়কগুলোর ২৮টি এলাকায় ভূমিধস হয়েছে, সেসব স্থানের আবর্জনা সরিয়ে রাস্তাগুলো খুলে দিতে দিনরাত কাজ করছে পুলিশ।কারকি আরও জানান, নেপালের মধ্যাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় মাঝারি ৫০ মিলিমিটার (২ ইঞ্চি) থেকে অতি ভারি ২০০ মিলিমিটারেরও (৮ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টি হতে পারে। অন্য এলাকাগুলোতে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে আবহাওয়া কর্মকর্তা বিনু মহারাজন জানিয়েছেন, রবিবারের আগে সম্ভবত বৃষ্টি থামবে না। পুরো অঞ্চল জুড়ে চলা এই বৃষ্টিপাতের জন্য সৃষ্ট নিম্নচাপ দায়ী। এরপর আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে আসতে পারে।”
কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরের মুখপাত্র রিনঝি শেরপা জানান আবহাওয়ার এই অস্বাভাবিক অবস্থায় অভ্যন্তরীণ বহু ফ্লাইটে বিঘ্ন ঘটলেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোতে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। নেপালের বন্যা পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হওয়ার পর উপচে পড়া নদীর জলে চারদিকে পাহাড় ঘেরা রাজধানীর বহু রাস্তা ও বাড়িগুলো তলিয়ে গেছে।এছাড়া দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কোশি নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এক কর্মকর্তা জানান, স্বাভাবিক সময়ে নদীটি দিয়ে দেড় লাখ কিউসেক (প্রতি সেকেন্ডে এ ঘনফুট) জল প্রবাহিত হলেও এখন সাড়ে চার লাখ কিউসেক জল প্রবাহিত হচ্ছে।প্রতি বছরই বৃষ্টির মরশুমে নেপালে হড়কা বান ও ভূমিধসে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়।