রবিবার রাতে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal)। ঝড়ের তাণ্ডবে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুরের মত উপকূলীয় অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এক রাতের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে বহু এলাকা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালি, সাগরদ্বীপে রেমাল আছড়ে পড়ার পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করেছে। রেমালের দাপটে একাধিক গাছ উপড়ে পড়ছে। সোমবার সকাল হতেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) উপড়ে পড়া গাছ কেটে জনজীবন স্বাভাবিক করার কাজ শুরু করেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমনি, তাজপুরের সমুদ্র উত্তাল চেহারা নিয়েছে। সমুদ্রের উপকুল অঞ্চলে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। একদিনে দক্ষিণবঙ্গে রেমালের (Remal) তাণ্ডব, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ টর্নেডো (US Tornado) আছড়ে পড়েছে। রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডো কয়েক হাজার মানুষের মাথার উপর থেকে ছাদ কেড়ে নিয়েছে। টর্নেডোর আঘাতে অন্ততপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
সিএনএন-এর রিপোর্ট বলছে, শনিবার গভীর রাত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, ইলিনইস, কেনটুকি, সেন্ট লুইস, মিসৌরি সহ একাধিক এলাকায় আঘাত হানে টর্নেডো (Tornado)। রবিবার সারাদিন মিলিয়ে ছোট বড় মোট ১১টি টর্নেডো-র আছড়ে পড়ার খবর মিলেছে। একের পর এক শক্তিশালী ঝড়ের আঘাতে বাড়িঘর ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি ১৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রশাসন। নিহতদের মধ্যে ২ ও ৫ বছর বয়সী দুই শিশু এবং একটি পরিবারের তিনজন সদস্য রয়েছে।
ঝড় কমতেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। একাধিক রাস্তাঘাট বিপর্যস্ত অবস্থায় থাকায় হেলিকপ্টারে করে আহতের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। টেক্সাস থেকে কানসাস, মিসৌরি, আরকানসাস, টেনেসি এবং কেনটাকি জুড়ে ৪,৭০,০০০ এরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।