Mark Zuckerberg (Photo Credit: ANI/Twitter)

Mark Zuckerberg: তাঁর পেশাদার জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিন কাটালেন মার্ক জুকেরবার্গের জীবনে। শেয়ার বাজারের বড় ধাক্কা খেয়ে আর্থিক দিক থেকে বড় ক্ষতিগ্রস্থ হলেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা। মেটা সিইও মার্ক জুকেরবার্গের সম্পত্তিতে বড় ধাক্কার অঙ্কটা শুনলে চমকে যাবেন। একটি দিনের শেয়ারবাজারে ধসেই তাঁর নেট মূলধন কমে গেল প্রায় ২৯.২ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২ হাজার ৫৬০ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সে এক লাফে পিছিয়ে পড়লেন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেরদের তালিকায়। ঘটনাচক্রে, মেটা প্ল্যাটফর্মস-এর শেয়ারের দাম পড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। কারণ কোম্পানির তরফে ৩০ বিলিয়ন ডলার বন্ড বিক্রির ঘোষণা। এই অর্থ মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তিতে বড় মাপের বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার হবে।

দুনিয়ার ধনীতম তালিকায় পাঁচ নম্বরে নেমে গেল জুকেরবার্গ

প্রতিবেদনে প্রকাশ, এই বিশাল পতনের ফলে জুকেরবার্গের মোট নিট সম্পত্তি নেমে এসেছে ২৩৫.২ বিলিয়ন ডলারে। এর ফলে তিনি এখন ধনী তালিকায় ৫ নম্বরে, যা গত দুই বছরের মধ্যে তাঁর সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অবস্থান। এদিকে, অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস এবং গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ দু'জনেই র‍্যাংকিংয়ে জাকারবার্গকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন। অ্যামাজন ও অ্যালফাবেট এই দুই সংস্থারই শেয়ারের দাম বেড়েছে বাজারে ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশের পরে। অ্যালফাবেটের আয় বেড়েছে ক্লাউড কম্পিউটিং এবং AI-সেক্টরে শক্তিশালী পারফরম্যান্সের ফলে। অ্যামাজনের ক্ষেত্রেও মুনাফা ও বিক্রির পরিসংখ্যান বাজারের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাওয়ায় শেয়ারে বড় উত্থান হয়েছে। ইলন মাস্ক এখনও তালিকার শীর্ষে।

AI-তেই রেকর্ড বিনিয়োগের ঘোষণার পর মেটার শেয়ার রেটিং কমে যায়

মেটার তরফে জানানো হয়েছে, সংস্থা চলতি বছর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-তে মোট ১১৮ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে। ২০২৬ সালেও খরচ আরও বাড়তে পারে। যা বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ঘোষণার পর পরই দুই বিশ্লেষক মেটার শেয়ার রেটিং কমিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই পতনের আগে চলতি বছরেই মেটার শেয়ার ২৮ শতাংশ বেড়েছিল, যার ফলে জুকারবার্গের সম্পত্তিতে আরও ৫৭ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছিল। তবে বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, AI বিনিয়োগের দীর্ঘমেয়াদি ফলাফলই নির্ধারণ করবে মেটার ভবিষ্যৎ পথ। অস্থিরতার মাঝেও প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের সম্পত্তির ওঠানামা স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে। এআই-ই আগামী বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তির কেন্দ্র।