Maherin Chowdhury (Photo Credit: X)

নয়াদিল্লি: বাংলাদেশের মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে সোমবার বিমান বিধ্বস্তের সময় নিজের জীবন বাজি রেখে অন্তত ২০ শিক্ষার্থীর প্রাণ বাঁচান শিক্ষক মাহরিন চৌধুরী (Maherin Chowdhury)। সাহসী শিক্ষিকা মাহরিন ৮০ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়েও নিজের সন্তানের মতো শিক্ষার্থীদের ছেড়ে যাননি। পোড়া শরীর নিয়েই চেষ্টা করেন শিশুদের বাঁচাতে।

সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বাংলাদেশ (Bangladesh) বিমান বাহিনীর একটি ‘এফ-৭ বিজিআই’ মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এতে ভবনে আগুন ধরে যায়। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, সাহসী শিক্ষিকা নিজের জীবন বিপ্নন করে আটকে পড়া ২০ জন শিশুর প্রাণ রক্ষা করেন।

গুরুতর জখম অবস্থায় শিক্ষিকাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার আগে স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন মাহরিন। তাঁর স্বামী মনসুর হেলাল জানান, মাহরিন স্কুল ছুটির পর বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই গেটের সামনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। নিজে দগ্ধ হলেও সেসময় তিনি বাচ্চাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন।

২১ জুলাই রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহরিন চৌধুরী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই শিশু।