ইসলামাবাদ, ১১ অক্টোবর: শুক্রবার কাশ্মীর দিবস (Kashmir Day) পালন করছে ইসলামাবাদ। গোটা পাকিস্তান (Pakistan) জুড়েই পালিত হচ্ছে এই কাশ্মীরি দিবস। মূলত কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানাতেই এই উদযাপনের ব্যবস্থা হয়েছে। সেদেশের তথ্য মন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ কনভেনশন সেন্টার থেকে ডি-চক পর্যন্ত মানব বন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। ডি-চকে মানব বন্ধন সমাপ্ত হওয়ার পর ওই জনসভায় বক্তব্য রাখবেন ইমরান খান (Imran Khan)। মানব বন্ধনে তিনিও থাকবেন। তাঁর সঙ্গে থাকছেন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়ক ফিরদৌস আশিক আওয়ান। কাশ্মীরি ভাইদের জন্য সংহতি প্রদর্শনে প্রতিবাদ মিছিলেরও ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের শাসক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ।
এদিকে এই প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির আয়োজক সাইফুল্লা খান নিয়াজি ইতিমধ্যেই দলীয় কর্মী সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন। মানব বন্ধনের পাশাপাশি এই প্রতিবাদ মিছিলের তোরজোরও শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পরেই নয়াদিল্লির সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সমস্ত সুসম্পর্ক ছেড়েছে পাকিস্তান। ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে না দিলে ফের পুলওয়ামা হামলার ছবি দেখবে ভারত, এমন হুমকিও দিয়েছেন ইমরান খান। পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। থর ও সমঝোতা এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় গিয়ে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে কান্নাকাটিও করেছেন ইমরান। তবে লাভের লাভ কিছু হয়নি। তাঁর এত পরিশ্রম বিফলেই গিয়েছে। একেবারে শেষ মুহূর্তে তুরস্ক পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে। আরও পড়ুন-বাংলাদেশের নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
এদিকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কাশ্মীর প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই দ্বিচারিতা শুরু করেছেন। তিনি কাশ্মীর প্রসঙ্গে প্রথমে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে স্পষ্টই বলেছেন। চিন বরাবরের জন্য পাকিস্তানের বন্ধু ছিল, আছে এবং থাকবে-ও। এদিকে শুক্রবার দুদিনের ভারত সফরে তামিলনাড়ুতে আসছেন শি জিনপিং। সেখানে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সন্ত্রাস প্রসঙ্গে নিয়ে আলোচনা হলেও কাশ্মীরকে ব্রাত্যই রাখতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। দুদিন এই সফরে মহাবলীপুরমে থাকবেন শি জিনপিং। আজ বিকেলে তিনি তামিলনাড়ু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নেমে সোজা মহাবলীপুরমের উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানেই থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।