Kashish Chaudhary (Photo Credit: X)

দিল্লি, ১৪ মে: বালোচিস্তানে (Balochistan) সরকারি অধিকার পেয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হলেন কোনও হিন্দু মহিলা। এই প্রথম কাশিশ চৌধুরী (BalochiBaKashish Chaudhary) নামে এক হিন্দু তরুণী বালোচিস্তানের সহকারী কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। মাত্র ২৫ বছর বয়সে কাশিশ চৌধুরী একজন পাকিস্তানি হিন্দু সম্প্রদায়ের মুখ হিসেবে বালোচিস্তানের সহকারী কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। অক্লান্ত পরিশ্রম করে, মন দিয়ে পড়াশোনা করেই তবেই কাশিশ এত কম বয়সে বালোচিস্তানের সহকারি পদ পেলেন। ফলে খুশি সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। বালোচিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশনে পরীক্ষা দিয়েই কাশিশ ভাল ফল করেন এবং সেখানকার সহকারী কমিশনার হিসেবে কাজে যোগ দেন।

রিপোর্টে প্রকাশ, গত ৩ বছর ধরে কাশিশ চৌধুরী পড়াশোনা করেছেন। রাত, দিন প্রায় এক  করে মনোযোগ সহকারে তিনি নিজের পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। নিয়ম করে পড়াশোনা এবং সংগঠিত জীবনযাপন করেই তিনি নিজে সাফল্য অর্জন করেছেন বলে জানান কাশিশ।

মেয়ের এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর বাবা গিরিধারী লাল। তিনি বলেন, কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা নিয়ে থেকেই তাঁর মেয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে বালোচিস্তানে কাজে যোগ দিয়েছেন। পড়াশোনা করে, সমাজে মেয়েদের জন্য যাতে কিছু করা যায়, সে বিষয়ে সব সময় স্বপ্ন দেখতেন কাশিশ।

বালোচিস্তান গর্ব কাশিশ চৌধুরী

সোমবার বালোচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কাশিশ এবং তাঁর বাবা। প্রদেশের সার্বিক উন্নয়েনর পাশাপাশি মহিলাদের জন্য তিনি কিছু করতে চান বলে কাশিশ জানান। সেই সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নেও তিনি কাজ করতে চান বলে জানান কাশিশ। যা শুনে সরফরাজ বুগটি পালটা জানান, কাশিশ তাঁদের গর্ব। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন মহিলা যে এভাবে উঠে এসেছেন, তার জন্য তিনি গর্বিত বলেও সরফরাজ বুগটির মুখে শোনা যায়।

এর আগে ২০২২ সালে করাচির পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ কেন মানেশ রোপেটা নামে এক মহিলা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানেশ এখনও করাচির পুলিশ কনমিশনারের পদে রয়েছেন বলে খবর। 

পুষ্পা কুমারী কোহলি নামে বছর ৩৫-এর আরও এক মহিলা করাচির সাব ইন্সপেক্টর হন। পাকিস্তানি হিন্দু সম্প্রদায়ের পুষ্পা কুমারী কোহলি এখনও নিজের পদে রয়েছেন। 

২০১৯ সালে সুমন পবন বোডানি নামে সিন্ধ প্রদেশের এক হিন্দু মহিলা পাকিস্তানের প্রথম সংখ্যালঘু মহিলা সিভিল জাজ হিসেবে নিযুক্ত হন। 

রমেশ কুমার ভাকওয়ানি নামে সিন্ধের এক রাজনীতিবিদ বলেন, পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলারা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন,তা তাঁদের কাছে গর্বের বিষয়। সিন্ধে বসবাসকারী বহু হিন্দু তরুণী চিকিৎসক, সরকারি চাকুরের পদে রয়েছেন বলে জানান রমেশ কুমার ভাকওয়ানি।