প্রেসিডেন্ট পদের জন্য জো বাইডন কমলা হ্যারিসের (Kamala Harris) নাম নেওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা (Barak Obama) নাকি তেমন খুনি নন। এমনকী তিনি নাকি বাইডনের সিদ্ধান্তে বেজায় চটে গিয়েছেন। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য মনে করছেন কমলা হ্যারিসকে। যার ফলে তাঁর হয়ে প্রচার করতেও রাজি নন তিনি। তবে সমস্ত জল্পনার ইতি টানলেন খোদ ওবামা। এমনকী ফোন করে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টকে জানিয়ে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। সেই সঙ্গে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী মিশেল ওবামা পূর্ণ সমর্থন করছেন কমলা হ্যারিসকে।
শুক্রবার বারাক ওবামা নিজের এক্স হ্যাণ্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে ফোনে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। সেই সঙ্গে রয়েছে তাঁর স্ত্রী মিশেল ওবামাও। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আপনাকে নিয়ে গর্বিত, কারণ আপনি ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন। আমি এবং মিশেল পূর্ণ সমর্থন করছি আপনাকে। আমার মতে আপনি আমেরিকার দুর্দান্ত প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। দেশের সংকটময় মুহূর্তে, নভেম্বরে আপনার জয় নিশ্চিত করতে আমরা সবরকমভাবে আপনাকে সাহায্য করবো।
Earlier this week, Michelle and I called our friend @KamalaHarris. We told her we think she’ll make a fantastic President of the United States, and that she has our full support. At this critical moment for our country, we’re going to do everything we can to make sure she wins in… pic.twitter.com/0UIS0doIbA
— Barack Obama (@BarackObama) July 26, 2024
Earlier this week, Michelle and I called our friend @KamalaHarris. We told her we think she’ll make a fantastic President of the United States, and that she has our full support. At this critical moment for our country, we’re going to do everything we can to make sure she wins in… pic.twitter.com/0UIS0doIbA
— Barack Obama (@BarackObama) July 26, 2024
প্রসঙ্গত, ৮১ বছরের বাইডন বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণেই এবারে প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে সামিল হতে চাইছেন না। ডিবেট বা প্রচারে গিয়েও তিনি সমস্যায় পড়ছেন। সেই কারণে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার জন্য কমলা হ্যারিসের নাম সামনে আনেন তিনি। এই নিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেকে সমর্থন করলেও বারাক ওবামা এতদিন নীরবই ছিলেন। আর তাতেই বাড়ছিল জল্পনা। ওবামার ঘনিষ্ঠমহল তো এটাও বলছিলেন যে, তিনি নাকি ডিবেটের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কারণ তাঁর বিশ্বাস ছিল হ্যারিসের নাকি ইজরায়েল, প্যালেস্তাইন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার বর্তমান সময় নিয়ে ধারনা নেই।