Japan PM Shigeru Ishiba: জাপানে রাজনৈতিক অচলাবস্থা অব্যাহত। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন শিগেরু ইশিবা। সিংহাসনে বসার ১১ মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ৬৮ বছরের ইশিবা। গত বছর অক্টোবরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন। ফুমিও কিশিদা (Fumio Kishida) তিন বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর তাঁর পরিবর্তে সিংহাসনে বসেছিলেন ইশিবা। গত ১২ বছর ধরে জাপানে একই দল ক্ষমতায় থাকলেও চারজন প্রধানমন্ত্রী পেয়ে গেল দেশ। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় শিনজো আবে আততায়ির হাতে খুন হন। এরপর তাঁর জায়গায় দেশের প্রধান পদে বসেছিলেন ইয়োশিহাউড সুগা। কিন্তু তিনি বছর খানেক দায়িত্বভার সামলানোর পর সরে দাঁড়ালে, ফুমিও কিশিদা প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
আফ্রিকান অভিবাসীদের অবাধে জাপানের দরজা খুলে ক্ষোভের মুখে পড়েন ইশিবা
গত জুলাইয়ে সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচনে ইশিবার দলের ভরাডুবি হয়। এই হারের দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী ইশিবা। তবে শুরুতে তিনি প্রধানমন্ত্রী থেকে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর নিজের দলের অন্দরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জোরাল হয়েছিল। জাপান বহু সংখ্যক আফ্রিকান অভিবাসীদের আনার নীতি, আইনশৃঙ্খলার খারাপ দশা, অর্থনীতির খারাপ অবস্থা, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি সহ একাধিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা-র ওপর ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটেছিল সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচনে।
দেখুন খবরটি
BREAKING: Japan’s Prime Minister Shigeru Ishiba has expressed his intention to step down following growing calls from his party to take responsibility for its big loss in the July parliamentary election, Japanese television reports. https://t.co/uRULn7FOjY
— The Associated Press (@AP) September 7, 2025
১২৫টি-র মধ্যে মাত্র জয় ৪৬ আসনে
গত বছর অক্টোবরেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছিলেন টোরির লিবারল ডেমোক্রেটিক দলের সাংসদ ইশিবা। কিন্তু গত জুলাইয়ে ইশিবার এলডিপি ও তাদের শরিক দল কোমেইটো সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচনে ১২৫টি-তে লড়ে মাত্র ৪৬টি আসনে জিতেছিল। এরপরই জোট শরিক ও দলের অন্দরে ইশিবাকে সরানোর দাবি জোরালো হয়। প্রথম সরতে না চাইলেও, ক্রমশ চাপ বাড়ায় এবার ইস্তফার পথে ইশিবা।