Japan Flu Outbreak: কোভিডের কথা মনে করিয়ে সবচেয়ে বড় আতঙ্ক নিয়ে হাজির ভয়াবহ ফ্লু। জাপান জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ ইনফ্লুয়েঞ্জা বা মরসুমী ফ্লু। বছরের তুলনায় প্রায় পাঁচ সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া এই প্রাদুর্ভাব এখন রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে রোগীতে। বন্ধ দেড় শতাধিক স্কুল। কিছু জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অফিসও। দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানেও একই ধরনের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ভ্রমণকারীদের জন্য সতর্কতা জারি হয়েছে। জাপানে এই আগাম ফ্লু মহামারী দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে চরম চাপে ফেলেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, সময়মতো টিকা, মাস্ক ব্যবহার এবং ভিড় এড়িয়ে চলাই এখন একমাত্র প্রতিরোধ।
জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পর্যায়ের ফ্লু মহামারীর ঘোষণা করেছে। গত ২০ বছরের মধ্যে এবারই এত তাড়াতাড়ি জাপানে হাজির ইনফ্লুয়েঞ্জা। সাধারণত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফ্লু ছড়ায়, কিন্তু এবার অক্টোবরের শুরুতেই পরিস্থিতি ভয়াবহ। গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহে ৪,০৩০ জন ফ্লু রোগীর খবর এসেছে। তার আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় এক হাজার জন বেশি। প্রতিটি হাসপাতালে গড়ে ১ জনেরও বেশি রোগী আসায়মহামারী সতর্কসীমা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের হাসপাতালগুলোতে বৃদ্ধ ও শিশু রোগীর ভিড় সামলানো যাচ্ছে না। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ হাজার ৮০০ জন ভর্তি হয়েছেন। পরিস্থিতি অনেকটা কোভিডের প্রথম দিকের সময়ের মতো চাপ তৈরি করেছে।
জাপানে ভয়াবহ ফ্লু-য়ের প্রাদুর্ভাব
🇯🇵 Japan’s flu season hits 5 weeks early amid fears of an evolving virus.
Japan’s Health Ministry declared a flu epidemic after 4,030 cases were reported in the week of Sept 22, up 957 from the previous week.
135 schools closed amid outbreaks, three times higher than last year. pic.twitter.com/xsM6ymIqtK
— Denis - The COVID info guy - (@BigBadDenis) October 10, 2025
কী কারণে এতবড় আকার নিচ্ছে এই ফ্লু
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাপানে এবারের ফ্লু ভাইরাসটি অস্বাভাবিকভাবে আগ্রাসী ও সংক্রামক। প্রতি সপ্তাহে ৪,০০০-এর বেশি নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ভাইরাসের জেনেটিক পরিবর্তনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশ্লেষকদের মতে, রেকর্ড পরিমাণ বিদেশি পর্যটক আগমন ও কোভিড পরবর্তী দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম এই ফ্লু ছড়ানোর অন্যতম কারণ। ওকিনাওয়া, টোকিও ও ফুকুওকা প্রদেশে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা গেছে।
দেশবাসীকে দ্রুত টিকা বা ভ্যাকসিন নেওয়ার আবেদন জাপান সরকারের
সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থদের নভেম্বরের মধ্যেই ফ্লু ভ্যাকসিন নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। যাতে ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারির চূড়ান্ত ঢেউয়ের আগে প্রস্তুতি নেওয়া যায়। রোগ দ্রুত ছাড়িয়ে পড়ায় চাহিদা বাড়ায় তামিফ্লু (Tamiflu) সহ বেশ কিছু ফ্লু ওষুধের ঘাটতিদেখা দিয়েছে। ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি উৎপাদন বাড়ালেও 'প্যানিক-বাইং' পরিস্থিতি আরও জটিল করছে। জাপানের ৪৭টি প্রদেশ বা প্রিফেকচার আক্রান্ত, সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দক্ষিণাঞ্চলে। ১,৮৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্লাস বাতিল করেছে। যা ছাত্রদের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও প্রভাব ফেলছে।