Italy PM Giorgia Meloni (Photo Credit: @Sprinterfactory/ X)

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির (Giorgia Meloni) ডিপফেক পর্ন ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর এক লক্ষ ইউরো ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।তদন্তকারীদের দাবি ওই দুই ব্যক্তি মেলোনির মুখ অন্য একজনের শরীরে সুপার ইম্পোজ করে তার পর্নোগ্রাফিক ভিডিও তৈরি করে ইন্টারনেটে আপলোড করে। ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ও তার ৭৩ বছর বয়সী বাবার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও আপলোড করার জন্য যে স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয়, তা ট্র্যাক করে তারা তাদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতালিতে কিছু মানহানির মামলা ফৌজদারি হতে পারে এবং এর ফলে কারাদণ্ডও হতে পারে। আগামী ২ জুলাই আদালতে সাক্ষ্য দেবেন মেলোনি। অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে এবং কয়েক মাস ধরে 'লক্ষ লক্ষ বার' দেখা হয়েছে। ইতালির প্রধানমন্ত্রীর আইনি দল বলেছে যে ক্ষতিপূরণের অনুরোধটি আসলে 'প্রতীকী'। তারা আরও বলেন মেলোনি এই অর্থ পুরুষ নির্যাতনের শিকার নারীদের সহায়তায় দান করবেন। মেলোনির আইনজীবী মারিয়া গিউলিয়া মারোঙ্গিউ বলেন এটি মহিলাদের একটি বার্তা দেবে যে তারা যেন অভিযোগ করতে ভয় না পায়। Narendra Modi - Volodymyr Zelenskyy: জেলেনস্কির সঙ্গে কথা মোদীর, শান্তি, সাহায্যের প্রস্তাব ভারতের

ডিপফেক আসলে কি?

ডিপফেক হল এক ধরণের সিন্থেটিক মিডিয়া যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভিজ্যুয়াল এবং অডিও সামগ্রী ম্যানিপুলেট করতে বা তৈরি করতে পারে, প্রায়শই এটি খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। এমআইটি অনুসারে, 'ডিপফেক' শব্দটি মূলত ২০১৭-এর শেষের দিকে চালু হয়, যখন সোশ্যাল মিডিয়া রেডডিটে একজন ইউজার ওপেন-সোর্স ফেস-সোয়াপিং প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি পর্নোগ্রাফিক ভিডিও শেয়ারের এক প্ল্যাটফর্ম বানায়। ডিপফেকের সাহায্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এমন ছবি বা সিনেমা তৈরি করতে পারে যেটি নকল ঘটনাকে আসল হিসেবে দেখায়। এই ঘটনার ছবি বা ভিডিও তৈরি করতে ডিপ লার্নিং নামে এক ধরণের এআই ব্যবহার করা হয়। এই ডিপফেক জনগণের আস্থা ও সত্যের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিপফেকের কাজই ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া, জনমতকে বিকৃত করা এবং খ্যাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। এটি এমন একটি শক্তিশালী সরঞ্জাম যা ব্যক্তিদের বিশ্বাসযোগ্য অডিও এবং ভিডিও রেকর্ডিং তৈরি করতে পারে যেটা সে কোনও দিনও বলেনি অথবা করেনি। অনেক বিশ্ব নেতা ডিপফেকের ক্রমবর্ধমান প্রকৃতি সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।